কল্পক্রম । " • هنر و یا নির্ণয় করা কঠিন। ইহাতে র্তাহার নিজের কোন স্বর্থ আছে, অথবা পরার্থ তিনি এই কাজ করিয়া থাকেন ? তিনি যে ক্রুরহাদয় খল লোকের ন্যায় অপরের স্কন্ধে দুঃখ ভার নিক্ষেপ করিয়া আনন্দ অনুভব করিবেন, সহৃদয় ব্যক্তির এরূপ অনুমান করা সুসঙ্গত হয় না । মানুষের হিতার্থই তাহার এই প্রবৃত্তি। তিনি যদি মানুষকে দুঃখ হইতে মুক্ত করিয়া কেবল মুখসাগরে নিমগ্ন করিয়া রাখিতেন, তাহ হইলে মানুষের মুখকে মুখ বলিয়া জ্ঞান হইত না। অথবা মানুষের মন ক্রোধ, লোভ, মদ,মাৎসর্য্যাদি দোষে যেরূপ দূষিত, বিধাতা যদি তাহার দমনের উপায় স্বরূপ রোগশোকাদি দুঃখে তাহাকে অভিভূত করিয়া না রাখিতেন,তাহার গৰ্ব্বাদি প্রভাবে দিগদাহ হইয়া যাইত। তিনি যে কারণেই মানুষকে দুঃখ ভারে অবসন্ন করিয়া খিন্ন করিয়া রাখুন, তাহার বিচিত্র বিধান বলে মামুষের কোন ক্রমেই দুঃখ হইতে পরিত্রাণ নাই। মানুষ যত সাবধান হউক, রোগ শোকাদির হস্ত হইতে কোন ক্রমেই অব্যাহতি লাভ করিতে পারে না । 蟲 বামদেব যে এমন সাবধান, তাহার শরীর স্বাস্থ্যের পক্ষে যে এমন অমুকুল, তিনিও প্রায় এক মাস হইল রোগশয্যায় শয়ান ছিলেন। র্তাহার শরীর একান্ত শীর্ণ, মুখ মলিন ও বিবর্ণ, চক্ষুর আর গে প্রফুল্লতা নাই, ললাটের প্রশস্ত্য যেন সংকীর্ণ ও বক্ষস্থলের দ্রাঘিমা যেন সঙ্কুচিত হইয়াছে, হস্তের আর পূর্ববং স্বকাৰ্য্য সম্পাদন করিবার ক্ষমতা নাই, চরণদ্বয়েরও পূর্ববং দেহবহনের শক্তি নাই। র্তাহার চিত্ত যে এমন দুর্জয়, কিছুতে অবসর হইবার নয়, সদা উৎসাহপূর্ণ, সে চিত্তও আজ একান্ত উদাস হইয়া পড়িয়াছে। র্তাহার আর সে বীর জনোচিত উৎসাহ নাই, তাহার যে সেই প্রিয় সংকল্পিত বিষয়—পৃথিবীর সর্বত্র সাধারণতন্ত্র স্থাপন,তাহাও আর হৃদয়ে স্থান পাইতেছে না। তিনি আজ চারি দিন মাত্র পথ্য করিয়াছেন, শরীরে কিঞ্চিৎ বলাধান হইয়াছে। শয্যা আর র্তাহার ভাল লাগিতেছে না । উহা কণ্টক হইয়া যেন তাহার সর্বশরীরকে বিদ্ধ করিতেছে। আজ বসন্ত পঞ্চমী, অতি প্রত্যুষে তাহার নিদ্রা ভঙ্গ হইয়া গিয়াছে। তিনি গৃহমধ্য হইতে বাহিরে আসিয়া বসিলেন। দক্ষিণ পবন সাগর জলে অবগাহন ও স্নান এবং পুষ্পবনে প্রবেশ পূর্বক পুপমধু গাত্রে মর্দন করিয়া তাহাকে সপ্রেম আলিঙ্গন করিতে । লাগিল। শরীর পুলকিত ও ইন্দ্রিয়গণ কিঞ্চিৎ উল্লাসিত ও উৎসাহিত হইয়া উঠিল। কোকিলের মধুর কাকলীরবে শ্রবণযুগল আনন্দিত হইল। সম্মুখে