পাতা:কল্পদ্রুম - দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৩৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রামায়ণ ও মহাভারত। ७७१ অমুসরণ করিয়া তাহদের ভগিনীগণ দিভুেঞ্জিয়া হইতে শিক্ষা করবেন, সংযমী হইতে অভ্যাস করিবেন, ব্ৰতপরীতে ইচ্ছা করিবেন, শুদ্ধসত্ত্ব হইয়া কালাতিবাহন করিতে বন্ধপরিকঃ হইবেন। যদি পুরবেরা “ ধে না হলে ঘর চলে না " বলিয়া আবার খোলা হাতে স্থত বাধিয়া চিত্তের আমোদে চক্ষুর লজ্জার মাথা খাইয়া জাতি হাতে সুপারি কাটিতে বসেন, এবং সমাজ তাহারই পোষকতা করেন, তাহা হইলে স্ত্রীলোকদের পক্ষে ঐ যুক্তি অবলম্বন করিয়া “ বর না হলে ঘর চলে ন৷ ” বলিয়া তাহাদের শোকদগ্ধ হৃদয় মন ও প্রাণকে প্রফুল্ল করা কি উচিত নয় ? তাহাদিগের ভরণ পোষণের ভার নববরের হস্তে দিয়া নিশ্চিন্ত হওয়া কি কৰ্ত্তব্য নয় ? তাহাদের ঐহিক মুখ সম্পদের পথ প্রমুক্ত রাখা কি ন্যায়সঙ্গত নহে? যে দেশে ন্যায়শাস্ত্রের এত গৌরব, সে দেশে এত অন্যায় এত অত্যাচার ও এত অবিচার হইতে দেখিয়া “ ন্যায়রত্ন ” মহাশয়ের মৌনাবলম্বন করিয়া রহিয়াছেন কেন ? তাহারা প্রকৃতভাবে “ পুরোহিত “ হইয়। যদি সবে মিলিয়া গা ঝাড় দিয়া উঠেন, এখনি হিন্দুসমাজের শোচনীয় অবস্থা দূর হইয়া যাইবে, এখনি ভারতমাতা পূৰ্ব্ববং আবার হাসিবেন, আবার নিজ যশোগৌরব চৌদিকে বিস্তার করিয়া মহিমান্বিত হইবেন, ইহা কি বাঞ্ছনীয় নহে ? এইরূপ করিয়া তাহারা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চলুন, র্তাহাদের বার্ষিক বন্ধ হইবে না, বিদায় বন্ধ হইবে না, তাহারাও বাচিবেন আমরাও উপকৃত ও কৃতজ্ঞ হইয়া তাহাদের অনুসরণ করিতে থাকিব। ক্রমশঃ– শ্ৰীবেচারাম চট্টোপাধ্যায়। @-- রামায়ণ ও মহাভারত | আমরা পুরাণ বিশ্বাস করি কি না, তাহ বলিতে পারি না । বানরে সাগর বাধিয়াছিল, বশিষ্ট ধেনুর পুচ্ছ হইতে শক, যবন প্রভৃতি অনেক সমর কুশল বীরজাতি বহির্গত হইয়াছিল—এ সকল কথার তাৎপৰ্য্য কি তাহ গ্রন্থকার বলিতে পারেন,—আমরা জানি না, বুঝি না। খৃষ্টীয় পুস্তকে বলে পৃথিবী একবার জলপ্লাবনে ভূবিয়া গিয়াছিল। সপরিবারে নোয়া এবং এক এক জোড়া সৰ্ব্বজাতীয় পশু পক্ষী ভিন্ন সে বিশ্ব-বন্যায় আর কাহীরও জীবন রক্ষা পায় নাই। জলে মৎস্যের মৃত্যু নাই। অতএব অন্য और छड्रे বা কেন ঈশ্বরের অভিসম্পান্তগ্রস্ত হইল, মংস্যই বা কি পুণ্যবলে সে বিপদ