পাতা:কল্পদ্রুম - দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৩৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՏԳՆ, কল্পদ্রুম | কথাই কহিয়াছেন “ যেন অনাস্ত্ৰাত পুষ্প ৷ ” জুরাত্মা আমার সমক্ষে সেই সুরভি পুষ্প ভোগ করিবে, আমি ফেল ফেল করিয়া চাহিয়া থাকিব, ইহা কি মানুষে পরে ? হায়! আমি কি পাগল! যে আমাকে চায় না, আমাকে দেখিলেক্ট্রলিয় উঠে, আমার নামে অন্ন জল পরিত্যাগ করে, আমি তাহাকে চাই ! আমি কি নিৰ্ব্বোধ ! তাহার নিমিত্ত আমার মন ব্যাকুল হয়, আমি কি আসার । তাহাকে দর্শন করিলে নয়নযুগল যেন অমৃত সাগরে ৷ সস্তরণ করিতে থাকে, তাহার কথা শুনিলে কৰ্ণে যেন মধু ঢালিয়া দেয়! কেন আমার এমন হয়, আমার মত অপদার্থত আর নাই। তাহার গমনভঙ্গী দেখিলে মন একান্ত চঞ্চল হইয়া উঠে, বোধ হয়, কোমল পদে কত বাজিতেছে, আমার হৃদয়ে কত আঘাত লাগিতেছে । হায়! কেন আমার এমন হয়,সে হাই তুলিলে হাত পাতিয়া ধরিতে ইচ্ছা করে। তাহার কথা লইয়। সৰ্ব্বদা থাকিতে বাঞ্ছা হয়। আমি বুঝিতে পারি, সে আমাকে ঘৃণা করে ; তথাপি এক ক্ষণের নিমিত্ত তাহার প্রতি আমার ঘুণ হয় না। মরি মরি, রূপের কি মাধুরী ! কোন চিত্র-নিপুণ চিত্রকর মনের মত একটা ছবি অণকিয় তাহাতে প্রাণদান করিয়া যেন দীর্ঘশৃঙ্গ পৰ্ব্বতে রাখিয়া গিয়াছেন। নলিনী মলিন হয় ; কুমুদিনী স্নান হয় ; শশাঙ্কলেখা ধূসরবর্ণ হইয়া যায় ; কিন্তু রাজকুমারীর রূপের ত কোন বিকার নাই। রে ছরায় ! তুই মনে করিয়াছিল, আমাকে বঞ্চনা করিয়া এই অনুপম রূপ ভোগ করিবি । আমি জীবিত থাকিতে তাহ হবে না। এই কথা বলিতে বলিতে জামাই বাবুর শরীর কম্পিত হইতে লাগিল, ঝর ঝর করিয়া স্বেদজল নির্গত হইল, চক্ষু রক্তবর্ণ হইয়া উঠিল, শেষে দীর্ঘনিশ্বাস ফেলিতে ফেলিতে চীৎকার করিয়া বলিয়া উঠিল, রে পাষণ্ড ! তুই আর চারি দিন অপেক্ষ কর, আমি তোর দর্প চূর্ণ করিতেছি। এবার আর তোকে চন্দ্র স্বর্য্য গ্ৰহ নক্ষত্ৰাদি দর্শন করিতে হইবে না, রাজভোগ উপভোগ করিয়া শরীরের পুষ্টি সাধনের অবসর পাইতে হইবে না, পাপীয়সী রাজকুমারীও আর দৃষ্টিপাতরূপ নীলনলিনমালায় আর তোমাকে ভূষিত করিতে পরিবে না। তিনি এই কথা কহিতে কহিতে ক্ষিপ্তের ন্যায় ভূতল হইতে উখিত হইলেন ; চতুর্দিক নিরীক্ষণ করিলেন ; যেন কি বিশ্বত হইয়াছেন, মুহূৰ্ত্ত নিস্তদভাবে তাহা স্মরণ করিতে লাগিলেন। তাহার পর সুর্য্যদেবের প্রতি