পাতা:কল্পদ্রুম - দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৪২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8२७ । । কল্পক্রম। দেবগণ ও পিতৃগণের অর্চনা না করিয়া যে ব্যক্তি পরমাংস দ্বার স্বমাংস বৰ্দ্ধনের ইচ্ছা করে, তাহার তুল্য অপুণ্যবান আবু নাই। 晦 বর্ষে বর্ষেহশ্বমেধেন যোযজেত শতং সমাঃ । । মাংসানি চ ন খাদেৎ যন্তয়োঃ পুণ্যফলং সমং ॥ ৫৩ ৷ যে ব্যক্তি এক শত বৎসরকাল বর্ষে বর্ষে অশ্বমেধযজ্ঞ করে ; আর যে ব্যক্তি যাবজীবন মাংস ভক্ষণ না করে, সেই দুই ব্যক্তির পুণ্যফল সমান । ফলমূলাশনৈমেধ্যৈমুন্যস্নানাঞ্চ ভোজনৈঃ । ন তৎফলমবাপ্রোতি যন্মাংসপরিবর্জনাৎ ॥ ৫৪ ৷ মাংস পরিত্যাগ হেতু যে ফল পাওয়া যায়, পবিত্র ফল মূলাদি ভক্ষণ ও মুনির অন্ন অর্থাৎ নীবারাদি ভোজন করিয়াও সে ফল পাওয়া যায় না। মাংস ভক্ষয়িতাহমুত্র যস্য মাংসমিহাঘ্যহং । o এতন্মাংসস্য মাংসত্বং প্রবদন্তি মনীষিণঃ ॥ আমি ইহলোকে যাহার মাংস ভক্ষণ করিতেছি, পরলোকে সে আমাকে ভক্ষণ করিবে, ইঙ্গতেই মাংস শব্দ ব্যুৎপন্ন হইয়াছে, পণ্ডিতেরা এই কথা বলেন। অর্থাৎ সংস্কৃত বিভক্ত্যন্ত মাং অীর স এই ছটা পদ হইতে মাংস শব্দ হইয়াছে । ন মাংসভক্ষণে দোষোন মদ্যে ন চ মৈথুনে। প্রবৃত্তিরেষা ভূতানাং নিবৃত্তিস্ক মহাফল ॥ ৫৬ ৷ মাংস ভক্ষণে দোষ নাই, মদ্যে দোষ নাই, মৈথুনে দোষ নাই, এ প্রাণিদিগের স্বাভাবিক প্রবৃত্তি, এ সকল হইতে নিবৃত্তি মহাফল প্রসব করে। ইহার তাৎপৰ্য্যাৰ্থ এই, মাংস মদ্যাদি বিষয়ে মানুষের স্বাভাবিক প্রবৃত্তি আছে, কিন্তু যেগুলি শাস্ত্র নিষিদ্ধ, তাহার পান ভোজনাদি করিবে না ; আর যদি শাস্ত্রবিহিত মাংসাদি ভক্ষণ পরিত্যাগ করিতে পারে, তাহার পর । আর নাই। তাহার প্রশংসার্থই এই বচনের আরম্ভ করা হইয়াছে। • ষষ্ঠীবাটায় জামাই বিদায়। রাত পোহলে ষষ্ঠীবাটা, একারণ চুচুড়ার চাটুৰ্য্যেবাড়ী চাউল বাটার বড় ধুম। পাঁচ বাড়ীর মেয়ের এসে চাউল বাটিতে বসেছেন, লোড়ার ঘট ঘটানি