মনুসংহিতা । ( e ংবাদ শ্রুতিগোচর হয়, ত্রিরাত্র অশৌচ হইবে। সম্বৎসর অতিক্রান্ত হইলে পর শুনিলে স্নান মাত্রে শুদ্ধি হয় । নির্দশং জ্ঞাতিমরণং শ্ৰুত্বা পুত্রস্য জন্ম চ । সবাসাজলমাপ্লত্য গুদ্ধোভবতি মানব: ॥ ৭৭ ৷ দশাহের পর সপিও মরণ অথবা পুত্র জন্ম শ্রবণ করিয়া তৎক্ষণাৎ স্নান করিয়া শুদ্ধ হয়। স্নান করিলে আর অস্পৃশ্যতা দোষ থাকে না । বালে দেশান্তরস্থে চ পৃথকৃপিণ্ডে চ সংস্থিতে। সবাসাজলমান্নুত্য সদ্যএব বিশুদ্ধতি ॥ ৭৮ ৷৷ অজাতদন্ত বালক এবং দেশান্তরস্থ সপিণ্ড ও সমানোদক ব্যক্তির মৃত্যু হইলে সদ্যঃশৌচ হয়। পূৰ্ব্বে বিদেশস্থ সপিণ্ডের মৃত্যুতে ত্রিরাত্র অশৌচ বলা হইয়াছে, এখানে যে সদ্যঃশেীচের কথা বলা হইতেছে, তাহার বিষয় ভেদ এই, যে স্থলে সপিণ্ডমরণে একাহ অশৌচ হয়, সেই স্থলেই স্নানের পর গুদ্ধি হইয়া থাকে ; আর যেখানে দশাহ অশোচের বিধান, সেখানে দশাহন্তে মৃত্যু সংবাদ শুনিলে ত্রিরাত্র অশৌচ হয়। অন্তৰ্দ্দশাহে স্যাতগঞ্চেৎ পুনৰ্ম্মরণজন্মনী । তীবৎ সাদগুচিৰ্ব্বিপ্রোযাবত্তৎ স্যাঙ্কনির্দশং ॥ ৭৯ ৷ সপিণ্ডুমরণের বা জননের দশাহ মধ্যে যদি পুনরায় সপিও মরণ বা জনন হয়, তাহ হইলে পুৰ্ব্বাশোঁচেই অশৌচ যায়। ত্রিরাত্রমাছরাশৌচমাচার্য্যে সংস্থিতে সতি। তস্য পুত্ৰে চ পত্ন্যাঞ্চ দিবারাত্রমিতি স্থিতি: ॥ ৮০ ॥ জনগোত্র আচার্য্যের মৃত্যু হইলে শিষ্যের ত্রিরাত্র, আর যদি তাহার পুত্র ও পত্নীর মৃত্যু হয়, তাহ হইলে শিষ্যের অহোরাত্র অশৌচ হইয়া থাকে, শাস্ত্রের নিয়ম এইরূপ । শ্রোত্রয়ে ভূপসম্পরে ত্রিরাত্রমগুচিৰ্ডবেৎ। মাতুলে পক্ষিণীং রাত্রিং শিষ্যত্বিশ্বান্ধবেষু চ ॥৮১ ৷ বেদশাস্ত্রাধ্যায়ী ব্যক্তি যাহার গৃহে বন্ধুভাবে অবস্থিতি করে, তাহার মৃত্যু হইলে সেই গৃহস্থ ত্রিরাত্র অশুচি হয়। মাতুল পুরোহিত ও শিষ্যাদির মৃত্যু হইলে পক্ষিণী রাত্রি অশৌচ হইয়া থাকে। পক্ষিণী শব্দের অর্থ এই, রাত্রি মধ্যস্থলে পূৰ্ব্ব ও পর দিবাভাগ পক্ষের ন্যায় দুই পাখে ; অর্থাৎ এক রাত্রি ও পূৰ্ব্বাপর দুই দিবাভাগ লইয়া পক্ষিণী গণনা হয়।
