পাতা:কল্পদ্রুম - দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৫২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(? >W) কল্পদ্রুম | বটে, কিন্তু এস্থলে একটা কথা বিবেচনা করিতে হইবে। কালিদাস পৌরাণিক ভাব আশ্রয় করিয়া যে কয়েকখানি কাব্য নাটক লিখিয়াছেন, তাহাদের আদর্শ এক এক খানি পুরাণ। মহাভারতের শকুন্তলোপাখ্যান হইতে অভিজ্ঞান শকুন্তল নাটকের ভাব সংগৃহীত হইয়াছে । রামায়ণ হইতে রঘুবংশ। কুমারসম্ভব একখানি পৌরাণিক কাব্য। শিবপুরাণ ও ব্রহ্মপুরাণ হইতে উহার ভাব সংগৃহীত হইয়াছে। শিবপুরা ভিন্ন আমরা ঐ ভাব আর কোথাও দেখিতে পাই না, সে কারণ বোধ হইতেছে শিবপুরাণ কালিদাসের পূৰ্ব্বে সঙ্কলিত হইয়াছিল। মালবিকাগ্নিমিত্রে একটা সগৰ্ব্বোক্তি শ্লোক আছে—তদর্শনে পাঠক বিবেচনা করিতে পারেন যে, ঐ নাটক কিছুতেই কালিদাসের গ্রথিত নয় বিনয়শীল কালিদাসের লেখনী হইতে তেমন গৰ্ব্বিত বাক্য কখন বিনিঃস্থত হইতে পারে না । শ্লোকটী এই— * পুরাণমিত্যেব ন সাধু সৰ্ব্বং ন চাপি কাব্যং নবমিত্যবদ্যম । সন্তঃ পরীক্ষ্যান্যতরস্তুজন্তে মূঢ়োইপর প্রত্যয়নেয়ৰুদ্ধিঃ ॥ পুরাতন হইলেই যে সকলগুলি উত্তম হয়, এমন নহে। আবার নুতন কাব্য হইলেই যে সকলগুলি অপকৃষ্ট তাও নহে। পণ্ডিতেরা স্বয়ং পরীক্ষা করিয়া গুণের তারতম্য বিচার করেন, মূখ অন্যের বুদ্ধিতে চালিত হয়। অধিক হউক আর অল্পই হউক, এখানে কলিদাসের কিছু কিছু অহঙ্কার প্রকাশ পাইতেছে। কিন্তু রঘুবংশের প্রারম্ভে কবি ঔদার্য্য গুণ ঢালিয়া দিয়াছেন, তাহারও একটা শ্লোকে যেন এইরূপ অহঙ্কারের কিছু কিছু অভিাস পাওয়া যায়— তং সস্ত: শ্রোতুমৰ্হস্তি সদসদ্ব্যক্তিহেতবঃ। হেমঃ সংলক্ষ্যতে হ্যগ্নেী বিশুদ্ধিঃ শ্যামিকাপি বা ॥ উপরে যে রঘুবংশের গুণ বর্ণন করা হইল, দোষ গুণ বিচার করিতে পারেন এমন যে পণ্ডিত—র্তাহারাই তাহার শ্রবণযোগ্য। অগ্নিতেই সুবর্ণের দোষ গুণ পরীক্ষিত হয় ।” o শ্লোক দুটা যেন এক ছাচে গড়া বোধ হইতেছে। যদি মালৰিকাগ্নিমিত্রের শ্লোকে গর্বের সংস্রব থাকে, তবে এ শ্লোকেও ত অহঙ্কার ফাটিয়া পড়িতেছে। পড়ে নাই ?--রঘুবংশ ! তুমি অরসিকের হাতে মাটী হইও না । তোমার ভাব রস সে কি বুঝিবে ? যাহার রসবোধ নাই, তোমাকে