পাতা:কল্পদ্রুম - দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৫৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

QQ と。 কল্পদ্রুম | করিত ” পণ্ডিতেরা মরুত্ত রাজার যজ্ঞের অঙ্গার বলিয়া কচকচিতে আসর গরম করিতেন। যদি বাঙ্গালীর অবেক্ষণ শক্তি থাকিত, তবে ঐ অঙ্গার এত দিন আমাদের একটী মহাকষ্ট মোচন করিবার প্রধান উপায় হইয়া দাড়াইত। অনেক স্থানে জালান কাঠের জন্য লোকদিগকে এত ভাবিতে হইত না। চক্ষে আমরা কেমন ধুয়া দেখিতেছি, আলো ধরিয়া আমাদের অগ্ৰে অগ্রে কেহ পথ দেখাইয়া না গেলে আমরা চলিতে পারি না । কত উষ্ণপ্রস্রবণ আছে, তাহার জল অনেক রোগে বিশেষ হিতকর । কিন্তু আমাদের ললাটে বিধাতা কি কুক্ষণে কলম চালাইয়াছেন, আমরা দ্রব্যের উপযুক্ত ব্যবহার শিখিতে পারি না—সে পাঠ যেন আমাদের ভাগ্যে ঘটিয়া উঠে না । বৈদাস্তিকের—সৰ্ব্বং থবিদং ব্ৰহ্ম—বলিয়া কি গুরুমন্ত্র যে কাণে পড়িয়া দিয়াছেন, আমরা সকল কাজেই দেখি দেবলীলা নাচিয়া বেড়াইতেছে। এক একটা উষ্ণপ্রস্রবণ এক একটী অধিষ্ঠাত্রী দেবতার স্থান । এখানে সীতাকুণ্ড, ওখানে লক্ষণকুণ্ড । নৈসর্গিক তত্ত্বানুসন্ধান অচলা ভক্তিতে গিয়া নিৰ্ব্বাণ মুক্তি লাভ করিয়াছে। মানুষ তত্ত্বজিজ্ঞাস্থ হইবে, সকল বিষয়ের অনুসন্ধিৎস্থ হইবে, কিছুতে কাল্পনিক কারণ নির্দেশ করিয়া নিশ্চিন্ত থাকিবে না। মামুষের উন্নতির এই এক মাত্র উপায়। আজ মোমাই নামক যে মহৌষধের বিষয় লিখিত হইতেছে, উহা আশ্চৰ্য্য কৌশলে প্রথমে আবিষ্কৃত হইয়াছিল। কিন্তু, লোকে এতৎসম্বন্ধে এমন অলীক গল্প করিয়া থাকেন, তাহা শুনিলে ঐ ঔষধেও অশ্রদ্ধা জন্মে। দেহের কোন স্থান আহত হইলে মোমাই লেপনে আশু ফল দর্শে ; এমন কি যেখানে আহত হস্ত পদ কৰ্ত্তন করিবার আবশ্যকতা হয় সেখানেও মোমাই লেপন করিলে আর কোন উৎকট ব্যবস্থার প্রয়োজন হয় না। অনেক ব্যক্তির হস্ত পদ ও পঞ্জর ভাঙ্গিয়াছিল, অস্ত্র চিকিৎসা ভিন্ন তাহার প্রতীকারের সম্ভাবনা ছিল না, কিন্তু মোমাই প্রয়োগ করায় র্তাহারা সকলেই অচিরে আরোগ্য লাভ করিয়াছিলেন। দুঃখের কথা, এই মহোপকারী ঐষধ নিতান্ত দুলভ । মোমাই প্রস্তুতকরণ সম্বন্ধে একটা অদ্ভূত গল্প আছে। অনেকে বলিয়৷ থাকেন যে, পারস্যরাজ হাফ সিদিগকে ক্রয় করিয়া প্রথমে তাহাদিগকে বলকর বিবিধ উপাদেয় সামগ্রী থাইতে দেন। যখন দেহ বিলক্ষণ হৃষ্টপুষ্ট ও কান্তি বিশিষ্ট হয়,তখন তাহাদের ব্রহ্মতালুতে একটা ছিদ্র করিয়া উৰ্দ্ধপদে অধোমুণ্ডে