পাতা:কল্পদ্রুম - দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৬০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রতিবাদের প্রতিবাদ । \ყ o S) বাল্মীকি রামায়ণকে প্রাচীন গ্রন্থ-ত্রেতাযুগের সংকলন এই বলিয়। পরিচয় দিতে নিতান্ত উৎস্থক হইয়াছিলেন। সে কারণ তিনি স্বপ্রণীত পুস্তকের কোন স্থানে মহাভারতের নামোল্লেখও করেন নাই। ক্রমে বহুকাল অতীত হইয়া গেল, রামায়ণ পুরাতন হইয়া আসিল, তখন লোকে প্রকৃত বৃত্তাস্ত ভূলিলেন–রামায়ণকে ত্রেতাযুগের ইতিবৃত্ত বলিয়া মানিতে লাগিলেন । অতঃপর সকল বিষয়ের সামঞ্জস্য রক্ষা করিবার মানসে কেহ কেহ মহাভারতে মহর্ষি বাল্মীকি ও তৎপ্রণীত রামায়ণের নাম সন্নিবেশ করিয়া দিলেন। রামায়ণের উত্তরকাণ্ড গাথিয় দিয়া লোকের বিশ্বাসাৰ্থ বালকাণ্ডে একটী শ্লোক রচিয়া দেওয়া হইয়াছে— চতুৰ্ব্বিংশ সহস্রাণি শ্লোকানামুক্তবাদৃষিঃ। তথা স্বর্গগতান পঞ্চষট কাণ্ডানি তপোস্তুরম ৷ ১ ৷৷ ৪ ৷ ২ হরিবংশ খিলও মহাভারতে সংলগ্ন করিয়া আদিপর্বে একটা শ্লোক রচিয় দেওয়া হইয়াছে— খিলেষু হরিবংশ-চ ভবিষ্যঞ্চ প্রকীৰ্ত্তিতং । ৩৭৯ । কৃষ্ণ দ্বৈপায়ন ব্যাসের পরবর্তী যে যে ঋষি মহাভারতে অভিনব শ্লোক রচিয়া দিয়াছেন, তাহারাই কুরু পাণ্ডুবংশের বিবরণ লিখিয়াছেন । এই সকল ঋষি অনেকে বাল্মীকির পূৰ্ব্বে জীবিত ছিলেন । প্রথমে মহাভারতের নাম বেদ ছিল। পরে এই সংহিতার ও বেদ চতুষ্টয়ের গুরুত্ব পরীক্ষায় মহাভারত অধিকতর গুরু হইল, সে কারণ উহার নাম মহাভারত । ভরত বংশের আখ্যান আছে বলিয়া মহাভারত নাম হয় নাই । পুরা কিল মুরৈঃ সৰ্ব্বৈ সমেত্য তুলয়া ধৃতং চতুর্ভ্যঃ সরহস্যেভ্যো বেদেভ্যোহ্যধিকং যদা । তদা প্রভৃতি লোকেহস্মিন মহাভারতমুচ্যতে । ভারত সংহিতায় বেদাদি শাস্ত্রের সারাংশ সঙ্কলিত হইয়াছে ( ভারঃ বেদাদিশ স্ত্রেভ্যোপি সারাংশ: অস্ত্যস্য ত ) সে কারণ উহার নাম মহাভারত । আবার পরবর্তী ঋষির। যখন উহাতে, ভরত বংশাখ্যান বর্ণন। করিলেন, তখন তৎকারণেও ঐ গ্রন্থের নাম মহাভারত রাখুিলেন । (স্বর্গারোহণপৰ্ব্ব । ) মহাভারত ও রামায়ণের রচনা সম্বন্ধে যাদব বাবু বলিয়াছেন—বাল্মীকি কাব্য লেখক । তিনি অনেক ভাবিয়া ভাবিয়া, ভাল ভাল শব্দগুলি বাছিয়া