পাতা:কল্পদ্রুম - দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৬১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের মর্ত্যে আগমন । ○>> জনতার লজ্জায় মুখ হেট করিয়া এই ভাবে দাড়াইয়া আছে যেন পৃথিবীর কাছে ভিক্ষ চাহিতেছে—তুমি দ্বিধা হও প্রবেশ করি। O পুলিষ সাহেব বারম্বার জিজ্ঞাসা করিতেছেন—ম তুমি কে ?—এই দুষ্টই বা কে ? ইহার চেহারাতে ইহাকে ত তোমার স্বামী বলিয়া বোধ হইতেছে না। এ ভণ্ড কি তোমায় প্রাণে নষ্ট করিয়া ঐ গাত্রাভরণ গুলি অপহরণ করিবার মানসে প্রতারণা করিয়া গৃহের বাহির করিয়া আনিয়াছে ? বল, আমাকে পুত্রের ন্যায় সমস্ত বিষয় খুলিয়া বল, তদনুসারে দুষ্টের দমন করি এবং তোমাকে তোমার স্বামীর গৃহে পাঠাইয়া দিই। যুবতী তখন অনেক কষ্টে মৃদু মৃদু স্বরে কহিতে লাগিল—হুগলি জেলার কোন গ্রামে আমার শ্বশুরালয় । আমার স্বামী বেশ একজন সঙ্গতিশালী ও বিখ্যাত জমীদার। তিনি আমাকে বিবাহ করিয়া আনিয়া কখন সুদৃষ্টিতে দেখেন নাই। কখন মিষ্ট কথা বল কিম্বা সহবাস করা তাহাও করেন নাই। বরং সময়ে সময়ে অকারণে তিরস্কার ও প্রহার করিতেন। আমি পরজন্মের পাপে এরূপ ঘটতেছে ভাবিয়া মনকে প্রবোধ দিতাম এবং দিন রাত কেঁদে কেঁদে দিন কাটাইতাম। এক সময় আমার অত্যন্ত পীড়া হইল বাচিবার । কোন আশা রহিল না । মনে মনে ভাবিলাম আহা ! যমের কৃপায় এই বার আমি সুখী হইব,--সকল জালা যন্ত্রণার হাত এড়াইব । কিন্তু যম এ হতভাগিনী, এ চিরদুঃখিনীকে নিলেন না। আমি ক্রমে ক্রমে ভাল হয়ে উঠলাম। পথ্য করে বসে আছি এমন সময় দেখি একটা কনে বে গৃহের বাহিরে খেলা করিতেছে। ঝিকে জিজ্ঞাসা করিলাম “ ঝি, ও বোটী কে ? * বি কহিল মা ঠাকরুণ উনি যে তোমার সতীন । যখন ডাক্তারের তোমায় দেখে বলেন এ যাত্রা রক্ষা পাইবে না, তখন বাবু হাসিতে হাসিতে বাট থেকে গিয়া উহাকে বে করে এনেছেন ৷ ” এই কথায় মনে বড় দুঃখ হল,--ভাবলাম আত্মহত্যা করি। আবার ভাবলাম আত্মহত্য মহাপাপ, যদি পাপই করতে হয় বাট হতে পলাই কুলে কলঙ্ক রটুক। লোকে বলুক অমুক বাবুর স্ত্রী ভাগলপুরে ঘর ভাড়া করে রয়েছে। এইরূপ স্থির করিয়া বাটীর গমস্তার সহিত পলাইয়া এসেছি। পল্লীগ্রামের মূখ^জমীদারদিগকে এই শিক্ষা দিতেছি যদি মান সন্ত্রমের ভয় থাকে, বাগানে গিয়া বেশ্য ও পানাসক্তি হইতে নিবৃত্ত হও ; নচেৎ আমার মত তোমাদেরও গৃহিণীর। এই পথ অবলম্বন করিয়া উপযুক্ত শিক্ষা দেবে। কিন্তু তাও বলি—এক্ষণে গহে পাহিৰ