দেবগণের মর্তে, অ{গমন ○ >“ মূল্য প্রস্তরদি দ্বার স্বলজ্জিত ছিল এক্ষণে আর নাই । এক্ষণে মসজিদ মধ্যে গো, অশ্ব প্রভৃতি পশ্বাদি বাস করিয়া থাকে। মসজিদে পূৰ্ব্বে ফোয়ার দ্বারায় গঙ্গাজল আনান হইত। এক্ষণে ফেয়ারাটার চিন্তু মাত্র । আছে, কলগুলি লোকে লইয়া গিয়াছে। মসজিদের সন্নিকটস্থ উচ্চ ভূমির উপর বেগমদিগের বাসস্থান ছিল। এক্ষণে ঐ স্থানের ধ্বংসাবশেষের উপর লতা গুল্ম বিরাজ করিতেছে। ইহার সন্নিকটে অনেকগুলি কবর আছে । এখানে বিষয় কৰ্ম্মোপলক্ষে ১০ । ১২ জন বাঙ্গালী বাস করিয়া থাকেন । একটা মধ্যম শ্রেণীর বিদ্যালয় আছে, রাজমহলের তামাক বড় বিখ্যাত । টে,ণ আবার ছাড়িল। এবং হুপ হপ শব্দে ধূম উদগীর করিতে করিতে কয়েকটা ষ্টেষণ অতিক্রম করিয়া নলহাটীতে যাইয়া উপস্থিত হইলে এক ব্যক্তি “ নলহাটী ” “ নলহাটী ” “ এ মুর্শিদাবাদ জানে ওয়াল। উতার ” শব্দে চীৎকার করিতে লাগিল । দেবগণ সেই শব্দ অনুসারে মোট মাটারি সহ নামিয়া গেটের নিকট উপস্থিত হইলেন। গেটের নিকট যাইয়। দেখেন টিকিট কলেক্টর এক জন অসভ্য বিহারিকে লইয়া মহা বিপদগ্ৰস্ত হইয়াছেন । তিনি টিকিট চাহিতেছেন কিন্তু সে ব্যক্তি প্রাণান্তে দিতেছে না, বলিতেছে—“ টিকিস কেউ দেঙ্গে ! হাম কবি নেই টিকিস দেঙ্গে । তোমারা বিশ্বয়াস না হোয় তো হামার সাৎ চল, হাম যtহাসে লিয়। হায় মোকাবেল কর দেং । ” টিকিট কলেক্টর দেখিলেন এ ব্যক্তি সহজে টিকিট দিবে না অগত্যা * পুলিষ ম্যান ” “ পুলিষ ম্যান " শব্দে চীৎকার আরম্ভ করিলেন । তখন সে পরিধেয় বস্ত্রের এক প্রান্ত কোমর হইতে টানিয়া বাহির করিয়৷ বত্রিশ বন্ধন মুক্ত করিয়া টিকিট খানি খুলিয়া বাহির করিল এবং টিকিট কলেক্টরের . হাতে দিয়া চলিয়া গেল । দেবতারাও নিজ নিজ টিকিট দিয়া গেটের বাহিরে সাইলেন এবং একটা দোকানে জলযোগ করিয়া গল্প করিতে লাগিলেন। বরুণ কহিলেন “ অতি প্রত্যুষে এই গাড়ী আজিমগঞ্জে যাইয়। থাকে। আপাততঃ চল আমরা গাড়ীর একটি কামরুতে শয়ন করিয়া নিশ যাপন করি । ” vʻ& Q এই কথায় সকলে সম্মত হইলে "দেবগণ গাড়িতে উঠিয় দেখেন এক একটী ক্লাশ যেন ঘোড় দৌড়ের মাঠ । তৃতীয় শ্রেণীর গাড়িতে বসিবার জন্য কোন বেঞ্চ প্রভৃতি নাই । যাহা হউক তঁহার মেজেতে শতরঞ্চি বিছাইয়া ( ૧ - ) . Q
