পাতা:কল্পদ্রুম - দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৬৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈজ্ঞানিক কৌতুক। లిసి জ্ঞানানাং বহুত বৈষা যোগবিঘ্নকরী হি সা ॥ ইদং জ্ঞেয়মিদং জ্ঞেয়মিতি ষষ্কৃষিতশ্চরেৎ । অসৌ কল্পসহস্ৰেযু নৈব জ্ঞানমৰাপুয়াৎ। ইতি ॥ ভা। যেমন ভূঙ্গ নানা পুষ্পে ভ্রমণ করিয়া সকলের সার গ্রহণ করিয়া থাকে,তেমনি । ৰোগী ব্যক্তি বহু শাস্ত্রের আলোচনা ও বহু গুরুর উপাসনা করিয়াও সার গ্রহণ করিবেন । ইহার তাৎপৰ্য্যার্থ এই,সার গ্রহণ সামর্থ্য না থাকিলে শাস্ত্র সকলের পরস্পর তাৎপৰ্য্যার্থে বিরোধ জ্ঞান উপস্থিত হয়,বিরোধ জ্ঞান জন্মিলে চিত্তের একাগ্রত হয় না। চিত্তের একাগ্রতা ব্যতিরেকে যোগ সিদ্ধির সম্ভাবনা নাই। বৈজ্ঞানিক কৌতুক । ( cउदौ ) । সচরাচর ভেল্কী দুই প্রকার দেখা যায়। হস্ত পদ প্রভৃতি দৈহিক অঙ্গ প্রত্যঙ্গ ও ইন্দ্রিয়াদির দ্বারা এক প্রকার ভেন্ধী সম্পাদিত হয়। আর এক শ্রেণীর ভেন্ধী দ্রব্যগুণ বা বিশেষ প্রণালীতে নিৰ্ম্মিত কল প্রভৃতির দ্বারা সম্পন্ন হয়। দক্ষিণ হস্তে একটা গুলি রাখিলাম এবং বাম হস্তে একটী গুলি রাখিলাম, দর্শকদিগকে নানা কথায় ভুলাইয়া এ হাত ও হাত করিয়া চালাকি পূর্বক এক হস্তেই দুই গুলি করিলাম। দর্শকের বিস্মিত হইলেন। শিশুকাল হইতে হাত সাধিলে এই বিদ্যায় নিপুণ হওয়া যায়। এইরূপ ভেী হস্তাদির দ্বারা কৌশলে সম্পাদিত হয়। আর কতকগুলি কৌতুক দ্রব্যগুণে নিম্পন্ন হয়। যেমন, রক্তপুষ্প শ্বেতবর্ণ করা, বোতলে অও প্রবেশ করান, কোন দ্রব্যে অগ্নি লাগাইলে তাহা দগ্ধ হয় না ইত্যাদি। এই শ্রেণীকে আমরা বৈজ্ঞানিক কৌতুক বলিতেছি। যে কোন শ্রেণীর ভেন্ধী হউক না, যিনি ভেন্ধী দেখাইবেন, তাহার হাতের বিলক্ষণ চালাকী চাই। ভেন্ধীর সমস্তই ফাকি, কেবল চালাকীর দ্বারা দর্শকদের চিত্তরঞ্জন সম্পাদিত হয় । পল্লিগ্রামের সাধারণ গৃহস্থ ੱਿ। বৈজ্ঞানিক কৌতুক কিরূপে সম্পন্ন হয় তাহা জ্ঞাত নহেন। তাহাদের কৌতুহল পরিতৃপ্তির জন্য আমরা প্রতি ংখ্যক কল্পক্রমের শেষে একটা করিয়া বৈজ্ঞানিক কৌতুক প্রকাশ কুরিব । এতদ্বারা সাধারণ পাঠকের বুদ্ধির চালনা হইবে এবং তাহারা অনেক দ্রব্যের গুণ জানিতে পারিবেন। তম্ভির নৈসর্গিক অনেক নিয়ম তাহারা বুঝিতে থাকিবেন, সুতরাং কৌতুকচ্ছলে বিজ্ঞান শাস্ত্রেও অন্ন অর অধিকার জমিবে।