ক্ষিতীশবংশাবলীচরিতম । ○ Q > কিন্তু যদি যজ্ঞের অব্যবহিত পরেই তদৃত্তান্ত লিপিবদ্ধ হইত, তাহ হইলে কেন এত মতভেদ ঘটবে ? গৌড়েশ্বর যজ্ঞ সমাপনান্তে পঞ্চ বিপ্রের বাসের নিমিত্ত পাঁচ খানি গ্রাম দিয়াছিলেন। তন্মধ্যে কোন কোন কারিকায় ব্ৰহ্মকোটি বলিয়া এক থানি গ্রামের নাম দেখা যায়, অন্য পুস্তকে তৎপরিবর্তে পঞ্চকোটি নাম লিখিত হইয়াছে। এইরূপ চারি পাঁচ জন কুলাচার্য্যের পুস্তক মেলন করিলে বিস্তর বৈষম্য দৃষ্ট হয়। আবার দেখুন, সকলের মুখেই শুনিতে পাওয়া যায়—“ পঞ্চ গোত্র ছাপ্পান্ন গাই, তা ছাড়। বামুন নাই । ” এ কথাও নিতান্ত অলীক। রাঢ়ীয় ব্রাহ্মণদিগের সর্বসমেত ৫৯ টী গাই । সাধারণতঃ, সকলেরই ছাপ্পার গাই নির্দেশ করিবার তাৎপৰ্য্য এই, কৌলীন্য মৰ্য্যাদা সমীকরণের বহুকাল পরে লুনাপঞ্চানন নামক ७क खन কুলাচাৰ্য্য বাৎস্যগোত্র হইতে পূৰ্ব্ব গ্রামণী, দীঘল ও চৌৎখওঁী পরিত্যাগ করেন, সে জন্য (২) অনেকে তিনটী গাই গণনা করেন না । (৩) আমরা পূর্বে উল্লেখ করিয়াছি যে, ভট্টনারায়ণের অধস্তন কয়েক পুরুষ বিক্রমপুরের সন্নিকটেই বাস করিয়াছিলেন। নবদ্বীপের রাজবাটীর দেওয়ান কাৰ্ত্তিকেয় বাবু, কৃষ্ণচন্দ্র রাজাদের পূর্ব বিবরণ বিলক্ষণ জ্ঞাত আছেন। (২) সৰ্ব্বত্র রাঢ়ীয়দের ছাপ্পান্নটী গাই পরিগণিত হয়। এই মতের পোষণ নিমিত্ত লীযুক্ত লালমোহন বিদ্যানিধি কুলদীপিকা হইতে এই শ্লোক উদ্ধত করিয়াছেন— কাঞ্জিবিল্লী মহিন্তাচ পূতিতুণ্ডশ্চ পিপ্পল । ঘোষালে বাপুলিশ্চৈব কাঞ্জারীচ তথৈব চ | সিমল!লশ্চ বিজ্ঞেয়া ইমে বাৎস্যকসংজ্ঞকাঃ । সম্বন্ধ নির্ণয় । " কুলদীপিকার পুস্তক বিশেষে কিরূপ পাঠান্তর আছে, তাহ আমরা বলিতে পাবি न । किड़ উক্ত শ্লোকের শেষাংশে আমরা আরও কয়েকটা শব্দ দেখিতে পাই— কাঞ্জিবিল্লী মহিন্তাচ পুতিতুণ্ডশ্চ পিপ্পল্লী। ঘোষালো বাপুলিশ্চৈল কাঞ্জারীচ তথৈব চ | পূৰ্ব্বগ্রামী দীর্বাঙ্গীচ চৌৎখণ্ডী শিম্বলালকঃ। বাৎস্যগোত্রজাতা ইমে বিখ্যাতাঃ পৃথিবীতলে । অতএব রাষ্ট্ৰীয় ব্রাহ্মণদিগের যে উনষাটটা গাই নির্দিষ্ট হইয়াছিল, এতদ্বারা তাহার প্রমণ পাওয়া যাইতেছে । (৩) খ্ৰীযুক্ত বাবু কাৰ্ত্তিকেয়চন্দ্র রায়ও এ কথা স্বীকার করিয়াছেন – ভট্টনারায়ণের পরপুরুষেরা যে স্থানে অবস্থিতি ও আধিপত্য করিতেন, তাহ বিক্রমপুরের সন্নিহিত । ’ ( ক্ষিতীশ বংশাবলী চরিত। ৭• পৃষ্ঠা )
