শ্ৰীহৰ্ষ । O १०१ পুরুষ গত হইয়াছে । কোন কোন স্থানে ৩৫ পুরুষ ও গত হইয়াছে। আমরা পূৰ্ব্বে যে শ্ৰীহৰ্ষকে কালিদাসের সমসাময়িক লোক বলিয়া স্থির করিয়াছি, বংশপরম্পৰ্য্যের সংখ্যা দেখিলে তিনিই কবি শ্ৰীহৰ্ষ এবং তিনিই গৌড়দেশে যজ্ঞানুষ্ঠানার্থ আসিয়াছিলেন, এইরূপ নিশ্চিত হয়। শ্ৰীহর্ষের বস্তুরাজ্যে আগমনের শকান্দাও অপপারিত হইয়াছে। তদ্ভিন্ন নৈষধচরিতের দুই স্থানের জুট শ্লোক সকল সংশয় ছেদ করিতেছে । এক স্থানে কবি লিখিতেছেন— p তাম্বলদ্বয়মাসমঞ্চ লভতে যঃ কান্যকুজেশ্নরাং । ২২ । ১৫৫ ৷ যিনি কান্যকুজেশ্বরের নিকটে তাম্বল ও আসন লাভ করিয়াছিলেন। নৈষধপ্রণেতা"কবি শ্ৰীহৰ্ষ কনৌজের রাজসভায় ছিলেন, এতদ্বারা তাহ। স্পষ্ট সপ্রমাণ হইতেছে। এ দিকে বঙ্গদেশীয় কুলাচাৰ্য্যদিগের গ্রন্থে দৃষ্ট হয় যে, শ্ৰীহৰ্ষ কনৌজ হইতে বঙ্গদেশে যজ্ঞবিশেষের অনুষ্ঠানার্থ আসিয়াছিলেন । অতএব এক স্থানে এক সময়ে এক নামের দুই ব্যক্তি বৰ্ত্তমান ছিলেন,এরূপ বিবেচনা করা নিতান্ত অসঙ্গত বোধ হয়। যাহা হউক, যদি চ বলেন झेझ i সম্ভাবিত ; কিন্তু অার একটী স্থানে নৈযধকার স্পষ্টই প্রমাণ দিতেছেন যে তিনি গৌড়রাজ্যে আসিয়াছিলেন— গৌড়োবাঁশকুল প্রশস্তিভণিতিভ্ৰাতৰ্য্যয়ং তন্মহা | কাব্যে চারুণি নৈষধীয় চরিতে সগোহগমৎ সপ্তমঃ । ৭ ১০৮ । গৌড়রাজার কুলপ্রশস্তি নামক বিরচিত প্রবন্ধের ভ্রাতৃস্বরূপ চারু নৈষধচরিতকাব্যে এই সপ্তম সর্গ সমাপ্ত হইল । শ্ৰীহৰ্ষ গৌড়রাজের প্রশংসামুবাদ করিয়া এক খানি গ্রন্থ রচনা করিয়াছিলেন। তিনি গৌড়ে আসিয়াছিলেন, গৌড়রাজের সভায় উপস্থিত ছিলেন, তাই গৌড়রাজের গুণানুকীৰ্ত্তনে তাহার প্রবৃত্তি জন্মিয়াছিল। প্রয়াগের উত্তরাংশের স্থলবিশেষকে কখন কখন গোঁড় কহিত ; কিন্তু সেটা প্রসিদ্ধ গৌড় দেশ নহে। বিশেষতঃ, ঐ স্থান চিরকাল অযোধ্যার অধীনস্থ । তথাকার গৌড়ে স্বতন্ত্র কেহ রাজা ছিলেন না। অধিকন্তু, অযোধ্যই বিখ্যাত নগরী। অযোধাt নাম ত্যাগ করিয়া কেহ যদি গৌড়রাজ বলেন, তাহ হইলে কখন প্রধান নগরী অযোধ্যার রাজা বুঝায় না। অতএব,নৈষধচরিতের গোঁড়ান্ধীশ শৰে বঙ্গের সন্নিহিত গৌড় দেশেরই ধরণীশ্বরকে বুঝাইতেছে।
