* り কল্পদ্রুম। বরুণ। গৌতম ভার্ষণ অহল্যা অদ্বিতীয়া মুন্দরী ছিলেন। আমাদের রাজাধিরাজ মহারাজ শ্ৰীল সেই রূপে মুগ্ধ হইয়া, সামান্য ব্রাহ্মণ বেশে গৌতম সন্নিধানে উপস্থিত হইয়া ছাত্র হন এবং গোপনে গোপনে ঐ সতীকে প্রলোভন দেখাইয়া অসতী করিবার চেষ্ট পান। নারায়ণ । তা নাহলে গুরুদক্ষিণ দেওয়া হয় কৈ ? বরুণ । সতীর মন চঞ্চল করা, সতীকে প্রলোভনে বশ করা দেবের অসাধ্য অতএব দেবরাজ তাহাতে বিফলমনোরথ হইয়া অন্য উপায় অবলম্বন করিলেন । গৌতম প্রতিদিন প্রাতঃস্নান করেন দেখিয় তিনি একদিন রজনী থাকিতে আসিয়া— নারায়ণ। মন্দলোকের ত আর চকে ঘুম থাকে না । বরুণ। ঋষির কুটীরের সন্নিকটস্থ বন ঠাঙ্গাইতে আরম্ভ করেন। তাহাতে পার্থী পক্ষিগুলি প্রাণের ভয়ে কিচির মিচির শব্দে ডাকিয়া উঠে। ঋষি কোস। কুসি হাতে লইয়া রাত্র নাই ভাবির। যেমন গৃহ হইতে বহির্গত হইলেন, দেবরাজ আমি গৌতম বেশ পরিগ্রহ করিয়া গৃহমধ্যে প্রবেশ করিয়া গুরুস্থান দখল করিলেন । নরায়ণ । বন ঠাঙ্গানোর অর্থ কি ? বরুণ। পার্থী ডাকাইয়। রাত্র নাই জানান হল । ওদিকে ঋষি জ্যোৎস্না প্রযুক্ত প্রথমে রাত ঠাউরাতে পারেন নাই, শেষে রাজনী আছে দেখিয়া প্রত্যাগমন পূর্বক যখন গৃহে প্রবেশ করিতেছিলেন দেবরাজ ঠিক সেই সময় গৃহ হইতে প্রত্যাগমন করায় ধৰ্ম্মের কেমন আশ্চৰ্য্য মহিম । উভয় গোতমের মস্তকে মস্তকে আঘাত লাগে। তখন প্রকৃত গৌতম ভণ্ড গৌতমকে জিজ্ঞাসা করেন “তুই কে ৷ ” দেবরাজ উত্তর দিবেন কি প্রাণের দায়ে থর মর করিয়া কাপিতে লাগিলেন। মহর্ষি শেষে এই অভিসম্পাং দিলেন—তোকে এই দুষ্কৰ্ম্মের প্রতিফল স্বরূপ সৰ্ব্বাঙ্গে সহস্ৰ যেনি ধারণ করিতে হইবে। তিনি অহল্যাকে ৪ শাপ দেন তুই অদ্য হইতে পাষাণ দেহ পরিগ্রহ কর, যে পৰ্য্যস্ত না শ্রীরামচন্দ্রের পদ তোকে স্পর্শ করে ঐ অবস্থায় থাকিতে হইবে। ব্ৰহ্মা । ছি ! ছিঃ! ছি । যখন দেব তার এই কাজ তখন আমার মনুষ্যগণের অপারধ কি ? অামার নতুষ্যের কোথায় আমাদের দেখে সৎশিক্ষণ পাবে সদ্ধপদেশ লাভ করবে, না এই সব অসৎ কাৰ্য্য দেখান হইতেছে। বরণ
