পাতা:কল্পদ্রুম - দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৭৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সংস্কৃত লিপিকাল সম্বন্ধে মোক্ষমূলারের মত খণ্ডন। ৭৪৯ 廳 / তাড়ন এবং জীবিকালাভের কষ্ট তাহাদিগকে সমধিক সহ্য করিতে হইয়াছিল। তদ্রুপ অবস্থায় ঋষিগণ বেদচতুষ্টয় এবং #नाना সমগ্র শাস্ত্র কণ্ঠস্থ রাখিতেন, ইহা কদাচ যুক্তিযুক্ত বোধ হয় না। অনুমানবলে আমরা এই স্থির করিতে পারি যে, পিশাচ রক্ষস দমু বৰ্ব্বর প্রভৃতি অনার্য্য জাতিগণ সৰ্ব্বদাই ঋষিদিগকে যৎপরোনাস্তি উৎপীড়িত করিত, র্তাহাদের যজ্ঞভাগ এবং পবিত্র গ্রন্থ এবং গোধনাদি অপহরণ করিত । সেই ভয়ে ঋষিগণ অবশ্য প্রয়োজনীয় সংহিতাদি কণ্ঠস্থ করিয়া রাখিতেন। অভ্যস্ত বিদ্যা অপহরণ করিবার উপায় নাই, সুতরাং মহর্ষিগণ ধৰ্ম্মজ্ঞান ও বিদ্যাধনে হৃদ য়কে বিভূষিত করিয়া পরম সুখে কালযাপন, করিতেন। বেদাদি পরম নিগূঢ় ধৰ্ম্মতত্ত্ব ভিন্ন অন্যান্য শাস্ত্র বৃক্ষের বন্ধে ও পত্রে লিখিত থাকিত, এইরূপ অনুমিত হয়। যাহাeহউক, বিচার স্থলে আমরা এ বিষয়ের বিশিষ্ট প্রমাণ দর্শাইতে সমর্থ নহি । কিন্তু পাণিনির সময়ে ভারতবর্ষে লিপি-প্রণালী অপ্রচলিত ছিল না, তাহার বহুল প্রমাণ বিদ্যমান রহিয়াছে । মোক্ষমূলর সাহেব সমর্থন করিয়াছেন, পাণিনির সময়ুেও ব্রাহ্মণের লিপি-কৌশল বিষয়ে এককালে অনভিজ্ঞ ছিলেন । র্তাহারা লিখিতে জানিতেন না ; গুরুমুখে উপদেশ পাইয়া শাস্ত্র কথা কণ্ঠস্থ করিতেন। পাণিনি লিখিতে জানিতেন না, মোক্ষমূলরের এরূপ নির্দেশ করা নিতান্ত অসঙ্গত হইয়াছে। পাঠক ! নিম্নে আমরা কতকগুলি প্রমাণ উদ্ধৃত করিতেছি, অভিনিবিষ্ট চিত্তে পৰ্য্যালোচনা করিয়া দেখুন। পাণিনির ব্যাকরণ আটটী অধ্যায়ে বিভক্ত। তন্নিমিত্ত ঐ ব্যাকরণাগমের নাম অষ্টাধ্যায়ী। গ্রন্থের প্রারম্ভেই শব্দমুশাসন । তা হাতে কেবল প্রত্যাহারময় দতুর্দশট (৩) মাত্র স্বত্র আছে। প্রত্যাহার বন্ধনের পর অধ্যায় আরম্ভ হইয়ছে । প্রত্যেক সুধায় চারি চারি পাদে বিভক্ত । মত - ബ- ബ- -l. * * * ളജ = ഈ = മ. -ള്ള ജ ബജ ബജ= ജ - - SM SMS SMM M MS MAGAMMM MMMAM MM MSMMS S S S S S S SS S SSAS SSAS SSAS SSAS SSASMT MMAA SAAAAA SAAAA SAS SSAS SS ==ബ്ജ= ജ== = ബ === (৩) এই চতুর্দশ স্বত্রের অন্তস্বত্র ‘ হল”। এ স্থলে “ হ এই একটা পর্ণ উপদেশ করিয়া পরে যে সমস্ত বর্ণ কথিত হইয়াছে প্রত্যাহারের নিমিত্ত তাহদের অন্তে লকার ইৎ করা হয়। বস্ততঃ, পঞ্চম স্বত্ৰে— হ য ব রটু? —হকারের উল্লেখs হইয়াছে, অতএব—হল –এইস্থত্রে বর্ণের নিমিত্ত আর হকারের প্রয়োজন নাই । এখন জিজ্ঞাসা করি, বর্ণের প্রকৃত বুৎপত্তিসিদ্ধি এবং বর্ণজ্ঞান কিরূপে হয়। ইন্দ্রিয়ের গ্রাহা দ্রব্যের রূপ রস বর্ণাদি গুণ আছে। অনুমান হয়, মসী প্রভৃতি বর্ণে অক্ষর লিখিত হইত তন্নি মিত্ত উহা বর্ণ নামে অভিহিত হয় ।