পাতা:কল্লুর জগৎ ১ - ঘোর প্যাঁচ আর গণ্ডগোল.pdf/৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

শব্বো বললো– “না মোটেও এখন ভোর নয়! কখন রোদ উঠেছে। অম্মী মহিষের দুধ দুইয়ে নিয়েছেন, আর আমাদের সকলের সকালের খাওয়াও শেষ।”

কল্লু কাঁপতে কাঁপতে উঠে বসে জালনা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে ঘুমে মিনমিন স্বরে বললো, “কিন্তু সূর্য্য? আমি তো সূর্যের কোনো হুদিশ পাচ্ছি না।”

“এই বোকাটা! ওটা তো কুয়াশা! অব্বু তরকারির চাষে কখন মাঠে বেরিয়ে গিয়েছেন আর আমাদের পাড়ার যত ছাত্র কখন আমাদের এই পথ হয়ে বেরিয়ে গিয়েছে।”

“সব্বাই চলে গেছে?” হাঁই তুলতে গিয়ে কল্লু আতঙ্কে ঢোক গিলে ফেললো। “মুনিয়াও?”

শব্বো মাথা নেড়ে “হ্যাঁ” বুঝালো। “ও রে বাবারে” কল্লু লেপ ফেলে দিয়ে কোনমতে উঠে পড়লো। ইস্কুলে আবার দেরিতে তো পৌঁছানো যাবে না। কিছুতেই না। এইতো দুদিন আগের কথা। মাস্টারমশাই রেগে শাসিয়েছেন কল্লুকে–এর পর আর একবারও দেরী হলে শুধু মাত্র চরম শাস্তি পাবে তাই না–তা ছাড়া উনি ওকে পরের ক্লাসে যেতে দেবেন কি না আদৌ-ভাই সন্দেহ। ভাও কল্লুকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কান ধরে দাঁড়িয়ে রাখার পর!

“আমায় এক্ষুনি একটা গপ্পো ভেবে ফেলতে হবে!” কল্লু মরিয়া হয়ে খাটের তলায় চটি খুঁজতে খুঁজতে ভাবলো। “একটা দারুন, বুক ফাটিয়ে দেওয়া ভীষণ ভাবে প্রভাবশালী জোরদার একটা গপ্পো...”

রোজকার মত একেবারে তীরের বেগে তৈরী হতে লাগলো।