পাতা:কাঙাল হরিনাথ - জলধর সেন.pdf/১০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8ም© কাঙ্গাল शद्भिन्नांथं পার্শ্বে দাড়াইয়াছিলাম। আমি দেখিলাম। অক্ষয়ের পা দুখানি থারথার করিয়া কঁাপিতেছে। আমি বলিলাম “ভয় নাই, তুমি পড়িয়া যাইবে না, আমি তোমার পা চাপিয়া ধরিতেছি।” আমি তাহাই করিলাম। সুবক্তা অক্ষয়কুমার কোন প্রকারে দুৰ্দশ কথা বলিয়া নামিয়া পড়িলেন। তখন কাঙ্গাল বলিলেন “জলধর, তুই কিছু বল।” আমি বলিলাম “আমি পারিব না।” তিনি গর্জন করিয়া বলিলেন “আমি বলছি, তুই বল।” আমার সাধ্য কি সে আদেশ লঙ্ঘন করি। আমি সেই আট দশ হাজার লোককে কি বলিয়াছিলাম তাহা আমি বলিতে পারি না। যাহার আদেশে কথা বলিয়াছিলাম, তিনি আমার মুখ দিয়া যাহা বলাইয়াছিলেন তাহাই বলিয়াছিলাম। আমার এ ধৃষ্টতা সে দিন সহরবাসী মহাশয়গণ মার্জনা করিয়াছিলেন, পাঠকগণও আজ মাৰ্জনা করিবেন। ইহারই নাম “ধাম ভানিতে শিবের গীত’, কেহ বা বলিবেন “আপনি কথাই পাঁচ কাহন।” কিন্তু উপায় নাই, জীবনের অনেক দিন কাঙ্গালের সুশীতল ছায়ায় কাটাইয়াছিলাম, তাই কাঙ্গালের কথা বলিতে গেলে নিজের হীন, অবজ্ঞাত জীবনের দুই একটী কথা আসিয়া পড়ে। : কথার পর কথা চলিতেছে, অথচ আমি কাঙ্গাল হরিনাথের কথা শেষ করিতে পারিতেছি না। এখন মনে হইতেছে, আমার জীবনের অবশিষ্ট কয়েকটা দিন যদি কাঙ্গালের কথাই বলি, তাহা হইলেও সে কথা বলা শেষ হইবে না। কাঙ্গালের জীবন-কথা আমি কয়েকটী ভাগে বিভক্ত করিয়া লইয়াছি। তাঁহার বাল্যজীবনের সংক্ষিপ্ত পরিচয় প্রদান করি।-- য়াছি; তাহার পরেই “বাঙ্গালাসাহিত্য হরিনাথ” বলা উচিত ছিল ; তাহার পর “প্রজাবন্ধু হরিনাথ,” তৎপরে “কাঙ্গাল ফিকিরর্চাদ হরিনাথ” সৰ্ব্বশেষে “ব্ৰহ্মাণ্ডবেদে হরিনাথ” বলিলে তৰে হরিনাথের জীবন-কথার