পাতা:কাঙাল হরিনাথ - জলধর সেন.pdf/১০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

鸭 कांक्रांक्ल इलिनॉर्थ ህ”» ধারাবাহিকতা রক্ষা পাইত। কিন্তু আমি কাঙ্গাল হরিনাথের বাউল । সংগীতের পরিচয় প্ৰদান করিবার জন্য এমন ব্যন্ত হইয়া পড়িয়ছিলাম.যে, আমি ধারাবাহিকতা রক্ষা করিতে পারি নাই। আর বাউল সংগীতের বিবরণও ক্রমেই দীর্ঘ হইয়া পড়িতেছে ; আমি কিছুতেই সে কথা সংক্ষেপ করিতে পারিতেছি না। ফিকিরর্চাদের কথাতেই সময় যাইতে বসিল ; অন্য কথা কবে বলিব ? বলিবার অবকাশ হইবে কি ? কাঙ্গাল হরিনাথের জীবনের প্রধান কথাগুলিই যে পড়িয়া রহিল। তাই আমার মনে হইতেছে আমার জীবনের বাকী কয়টা দিনেও হয় তা সব কথা বলা শেষ হইবে না। তা না হউক, কিন্তু তাই বলিয়া আমি ফিকিরীচাঁদের বাউল সঙ্গীতের কথা মধ্যপথে শেষ করিতে পারিতেছি না। আমি গানেরই পরিচয় প্ৰদান করিব। যে গানে আমাদের দেশে একটা ভাবের বন্যা ছুটিয়াছিল, যে গান শুনিয়া পূর্ববঙ্গের নরনারী প্ৰাণে অতুল আনন্দ উপভোগ করিয়াছিলেন, সে গানের সামান্য পরিচয়ও যদি আমি দিয়া যাইতে পারি, তাহা হইলেও কৃতাৰ্থ হইব। রাজসাহীতে পণ্ডিত বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী ও কাঙ্গাল হরিনাথ যে আনন্দের হাট বসাইয়াছিলেন, তাহার কথা আমি বলিবার অবকাশ পাই নাই। আমরা সকলেই রাজসাহী ব্ৰাহ্মসমাজের উৎসব উপলক্ষে নিমন্ত্রণ পাইয়া সেখানে গিয়াছিলাম, কিন্তু একদিন কি দুইদিন ব্যতীত আমরা ব্ৰাহ্মসমাজে যাইতে পারি নাই। যে দিন যাহা হইবে তাহার অনুষ্ঠানপত্ৰ পুর্বেই প্রকাশিত হইয়াছিল; কিন্তু রাজসাহীতে যাঁহাদের নিকট উপস্থিত হইলাম, দেখিলাম তাহারা ব্যবস্থার অতীত অবস্থায় উপনীত হইয়াছেন— তাহারা নির্দিষ্ট গভীর মধ্যে আবদ্ধ থাকিবার অবস্থায় ছিলেন না। প্ৰাতঃকালে গোস্বামী মহাশয়ের ব্ৰাহ্মসমাজে উপাসনা করিবার কথা ; এদিকে