পাতা:কাঙাল হরিনাথ - জলধর সেন.pdf/১০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

काव्ल श्नांथ ৮৩ ৷ থাকিবে কি করিয়া, আর আমরাই বা এ আনন্দের হাট ছাড়িয়া ব্ৰাহ্মসমাজে যাইব কেমন করিয়া । বেলা আটটা কি নয়টার সময় হয় তা তাঁহাদের হাঁস হইল। তখন চাহিয়া দেখেন বেলা হইয়া গিয়াছে; কাঙ্গাল হয় তা বলিলেন “তাই ত, সমাজে যাওয়া হইল না।” হইল না, ত হইল না । সুতরাং আমরা যে ছয় সাতদিন রাজসাহীতে ছিলাম, তাহার মধ্যে দুই একদিন ব্যতীত আমরা ব্ৰাহ্মসমাজে যাইতে পারি নাই। আমরা কিন্তু সেই সময়েই বলাবলি করিতাম যে, গোস্বামী মহাশয়ের যে প্ৰকার ভাব দেখিতেছি, তাহাতে তিনি আর অধিকদিন ব্ৰাহ্মসমাজের সামাজিক উপাসনায় যোগদান করিতে পরিবেন না । আমাদের সে কথা ফলিতে বিলম্ব হয় নাই। আমরা যে সময়ের কথা বলিতেছি তাহার মাসাধিককাল পরেই গোস্বামী মহাশয়ের সহিত সাধারণ ব্ৰাহ্মসমাজের সম্বন্ধ লোপ হইয়াছিল। যদি পারি। তবে সে কথা পরে বলিব, কারণ সে ঘটনার সহিত কাঙ্গাল হরিনাথেরও বিশেষ সম্বন্ধ আছে । রাজসাহী অবস্থান সময়ে আমরা একদিন সহরের অদূরবর্তী একটা গ্রামের ভগ্নাবশেষ দেখিতে গিয়াছিলাম। সে স্থানটা অতি ভয়ানক; } দেখিলেই প্ৰাণে বিষাদের সঞ্চার হয়। বড় বড় দালান কোঠা ভাঙ্গিয়া পড়িতেছে, চারিদিকে জনমানবের সম্পর্ক নাই, সমস্ত স্থানটা জঙ্গলে পরিপূর্ণ। বড় বড় পুষ্করিণী পড়িয়া রহিয়াছে, ঘাটগুলি ভাঙ্গিয়া গিয়াছে, জল দেখিবার যো নাই, দামে দলে পূর্ণ হইয়া গিয়াছে। কোম্পানীর আমলে একজন ব্যবসায়ী কারবার করিয়া অনেক অর্থ উপাৰ্জন করিয়াছিলেন; তিনিই এই গ্রাম বসাইয়াছিলেন, এই সকল প্ৰকাণ্ড অট্টালিকা ৷ নিৰ্ম্মাণ করাইয়াছিলেন, এই সকল জলাশয় খনন করাইয়াছিলেন। তাহার পর ?--তাহার পর এখন পুরাতন ইষ্টকস্ত প, ভগ্ন দেওয়াল, পরিত্যক্ত