পাতা:কাঙাল হরিনাথ - জলধর সেন.pdf/১০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

by কাঙ্গাল হরিনাথ সে যাহাই হউক, আমাদের নৌকাপথে দামুককিয়া ঘাট পৰ্যন্ত যাওয়া স্থির হইল এবং সেখান হইতে রেলে কুমারখালি যাইতে হইবে। শ্ৰীমান । অক্ষয়কুমার মৈত্ৰেয়ের পিতৃদেব মথুর বাবু বলিলেন “যদি দামুকদিয়া পৰ্যন্ত নৌকায়ই গেলেন, তাহা হইলে একেবারে সেই নৌকায় কুমারখালি গেলেই হয় ; রেলের হাঙ্গামায় প্রয়োজন কি ?” শেষে তাহাই স্থির হইল। পরদিন অতি প্ৰত্যুষে আমরা যাত্ৰা করিলাম। গোস্বামী মহাশয়, তাহার সহধৰ্ম্মিণী, তাহার দুই কন্যা ও র্তাহার শাশুড়ী ঠাকুরাণী, কাঙ্গালের দল এবং আমি নীেকায় উঠিলাম। নৌকা ছাড়িয়া দিবার অব্যবহিত পরেই গোস্বামী মহাশয় বলিলেন “আজ আর আহারাদির হাঙ্গামা করা হইবে না, নৌকায় যা জলখাবার লওয়া হইয়াছে তাহাতেই আজ ক্ষুধা নিবৃত্তি করিতে হইবে। কুমারখালিতে পৌছিয়া আজ অন্ন গ্ৰহণ। নৌকায় অবিশ্রান্ত গান চলিবে।” ভাল কথা । তখনই গানের আয়োজন হইল। কাঙ্গাল আর আমাদের উপর । গান নিৰ্বাচনের ভার দিলেন না, তিনি নিজেই গান ধরিলেন বিচ্ছে ভবনদীর নিরবধি খরধার। দেখ, ক্ষণকাল বিরাম নাই এই দরিয়ার। ১। ডিঙ্গা ডিঙ্গী পিনেস বজরা মহাজনী নৌকায়, পাপী তাপী সাধু ভক্ত চড়নদার তার সমুদায় ; ভাসিছে দরিয়ার জলে, ইচ্ছামত নৌকা চলে, হ’ল ধ’রে তার সুকৌশলে ব’সে আছে কর্ণধার। - (মন সবার) ২। কর্ণধারের ইচ্ছামত কেহ চলে উজায়ে, মনের সুখে জ্ঞান-মাস্তুলে ভক্তিপাল উড়ায়ে ;