পাতা:কাঙাল হরিনাথ - জলধর সেন.pdf/১১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

କ8 কাঙ্গাল হরিনাথ নদীতীর হইতে আমাদের গ্রামে যাইতে হইলে খানিকটা বালুকপূর্ণ চর অতিক্রম করিতে হয়। আমরা সেই চরের উপর দিয়া নিঃশব্দে চলিতে লাগিলাম। চর পার হইয়া যখন আমরা গ্রামের মধ্যে প্ৰবেশ করিলাম, তখন আমি সকলকে বলিলাম, এই সময়ে গান ধরিতে হইবে। ফিকিরচাদের দলের লোকেরা সকলেই এক একখানি খঞ্জনী হাতে লইয়া প্ৰস্তুত ছিলেন । আমি গান ধরিলাম যাদের হরি ব’লতে নয়ন ঝুরে, । (ওরে) তারা দুভাই এসেছে রে ।” সেই গভীর রাত্ৰিতে সুপ্তিমগ্ন পল্লীর নীরব নিস্তব্ধতা ভঙ্গ করিয়া আট দশখানি খঞ্জনী বাজিয়া উঠিল, আর ফিকিরের দলের সুগায়কগণ কণ্ঠ সপ্তমে চড়াইয়া গান ধরিল যাদের হরি বলতে নয়ন ঝুরে, (ওরে, তারা দুভাই এসেছে রে । যারা, আচণ্ডালে প্ৰেম বিলায়, এসেছে। যারা, নাচে। আর হরি বলে, এসেছে রে । , যারা মার খেয়ে হরি বলে, এসেছে রে । ইত্যাদি তখন আর কথার অভাব হইল না, ভাবের অভাব হইল না । আট দশখানি খঞ্জনী বাজিতেছে, সুগায়কগণ ভাবে বিভোর হইয়া গান করিতেছেন ; গ্রামের লোক কি আর শয়ন করিয়া থাকিতে পারে ? যে যে অবস্থায় ছিল, সে সেই অবস্থাতেই রাস্তায় বাহির হইল। দেখিতে দেখিতে সমস্ত গ্রামখানি জাগিয়া উঠিল। আর গান করিবার লোকের অভাব হইল না; সকলেই আসিয়া আমাদের এই মহাসংকীৰ্ত্তনে যোগদান করিতে লাগিল। আর গোস্বামী মহাশয় ও কাঙ্গাল হরিনাথ-তাহাদের কথা কি বলিব! তাহারা উন্মত্তপ্রায় হইলেন। তাঁহারা দুইজনে আমাদের