পাতা:কাঙাল হরিনাথ - জলধর সেন.pdf/১৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

कलिङ्गळ इद्भिन्नशं 8נג দুই দল না হইলে কবি-গান হয় না। প্ৰথমে এক দল গীতপ্রসঙ্গে অপর দলের উপর কোনও একটী প্রশ্ন করে। এই প্রশ্ন সাধারণতঃ রামায়ণ, মহাভারত, পুরাণ প্ৰভৃতি হইতেই করা হয়। এই প্রশ্নের নাম “চাপান” । এক দল এই চাপান দিয়া গান শেষ করে এবং আসর হইতে চলিয়া যায় ; অপর দলকে তৎক্ষণাৎ আসরে উপস্থিত হইতে হয়। দ্বিতীয় দলের লোকেরা আসরে উপস্থিত হইয়া ঢোলের বাজনার সঙ্গে অল্প সময়ের জন্য নৃত্য করিতে থাকে ; সেই অবকাশে সেই দলের যিনি সর্দার বা বাধনদার তাঁহাকে পূৰ্ব্বোক্ত গানের উপযুক্ত প্রত্যুত্তর প্রস্তুত করিতে হয় এবং নৃত্য শেষ হইবামাত্র দলের লোক এই নব-রচিত গানের দ্বারা প্ৰথম পক্ষের প্রশ্নের উত্তর দেয়—এই উত্তরের নামই “উতোর”। “উতোরা” দেওয়া শেষ হইলে দ্বিতীয়পক্ষ প্ৰথম পক্ষের উপর গীতযোগে “চাপান” দেয়। এই প্ৰকার প্রশ্নোত্তর ক্রমাগত চলিতে থাকে। কোনও এক পক্ষ অপর পক্ষের প্রশ্নের উত্তর না দিতে পারিলেই অথবা তাঁহাদের উত্তর আসরে উপস্থিত সমজদারগণের মতে যথেষ্ট বিবেচিত না হইলে সেই পক্ষের পরাজয় হয়। ইহা হইতেই সকলে বুঝিতে পরিবেন যে, কবির দলেরও ওস্তাদি করা বড়ই কঠিন ব্যাপার। রামায়ণ, মহাভারত, পুরাণ, তন্ত্র, দেশাচার, লোকাচার-এই সমস্ত বিষয়ে যিনি অভিজ্ঞ এবং সেই সঙ্গে সঙ্গে যাহার উপস্থিত কবিতা রচনার ক্ষমতা থাকিত তিনিই কবির দলে ওস্তাদি করিতে পারিতেন। বাল্যকালে কৰিরি গান শুনিতে শুনিতে বা কাঙ্গালের কথাতেই বলি “গিলিতে গিলিতে’ অশিক্ষিত বালক হরিনাথের কবিত্ব শক্তির স্মৃৰ্ত্তি হয়। হরিনাথের বয়স যখন দশ বৎসর, তখন একদিন আমাদের কুমারখালি গ্রামে দুইটী প্ৰসিদ্ধ দলের কবির লড়াই হইতেছিল। এক দল “চাপান” দিয়া গিয়াছেন, অপর দলেয় ওস্তাদ আসরের বাহিরে বসিয়া সেই “চাপানে”র