পাতা:কাঙাল হরিনাথ - জলধর সেন.pdf/১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 কাঙ্গাল হরিনাথ বাহুল্য, পরস্নেহে ও পর-অন্নে প্ৰতিপালিত কাঙ্গাল হরিনাথের শিক্ষার কোন ব্যবস্থাই হয় নাই। তিনি তাহার আত্ম-জীবন-চরিতে লিখিয়াছেন —“এই সময়ে শ্ৰীযুক্ত কৃষ্ণধন মজুমদার মহাশয় একটী ইংরাজী স্কুল স্থাপন করিয়াছিলেন। অধ্যয়নের নিমিত্ত তাহাতে প্ৰবেশ করিলাম। প্রতিপালিকা খুল্লপিতামহী আৰ্য্যা অবীরা, সৰ্ব্বপ্রকার সম্পত্তিহীনা। অগত্যা মধ্যম-জ্যোঠামহাশয় দুটা অন্ন দিতে লাগিলেন। আমি কি করিব, জামিরদিয়ার কুঠিতে খুল্লতাত মহাশয়কে লিখিলাম। তিনি বেতন দিতে অধ্যয়ন করিতে লাগিলাম। ভিক্ষাদেৰী পুস্তক সংগ্ৰহ করিয়া দিতে লাগিলেন। কোন কোন পাঠ্যপুস্তকের অভাব নকল করিয়া পূরণ করিতাম। আবার সহপাঠীদের অবসর সময়ে কোন কোন পুস্তক লইয়াও পাঠ অভ্যাস কিরিতাম। এ দিকে কুঠি বন্ধ হওয়ায় খুড়ামহাশয়ের চাকুরী গেল। তিনি আর বেতন দিতে স্বীকার করিলেন না। অর্থাভাবে লেখাপড়াও বন্ধ হইল।” এই সময়ে তাহার পরিধেয় বন্ধের এতই অভাব হইয়াছিল যে, তিনি গৃহের বাহির হইতে সঙ্কুচিত হইতেন। সেই সময়ে কোন ধনী কুণ্ডু মহাশয়ের একখানি পুস্তক নকল করিয়া দিয়া তিনি একখানি নূতন বস্ত্ৰ লাভ করিয়াছিলেন । অনন্যেপায় কাঙ্গাল হরিনাথ গ্রাসাচ্ছাদনের নিমিত্ত কোন বিশিষ্ট মহাজনের দোকানে খাতা-লেখকের কাৰ্য্যে নিযুক্ত হন। কিন্তু সে কাৰ্য্যে অধিক দিন তিষ্ঠিয়া থাকিতে পারেন নাই। কোন ঘটনাসূত্রে হরিনাথ তাহাদের অভিপ্ৰায় মত কাৰ্য্য না করায় দোকানের কাৰ্য্যাধ্যক্ষ মহাশয় অসন্তুষ্ট হইয়া যৎপরোনাস্তি ভৎসনা পূর্বক তাঁহাকে তাড়াইয়া দেন। তিনি এই ঘটনা সম্বন্ধে লিখিয়াছেন- “এই ঘটনার পর জ্যোঠামহাশয় দু’বেলা যে দুটা অন্ন দিতেন, সে অল্পের বরাতও উঠিয়া গেল। এখন