Σ 8 काष्ठाव्ल शब्रिनाथ আমাদের দেশের লোকের আর কি অধিক কলঙ্ক হইতে পারে । যাহারা আমাদের জন্য প্ৰাণপাত করেন, জীবিতাবস্থায় একবার তাহার দিকে ফিরিয়াও চাহি না । অবশেষে তাহারা ইহজীবন ত্যাগ করিয়া নিন্দ বা প্ৰশংসার অনেক উৰ্দ্ধদেশে চলিয়া গেলে, আমরা তাহদের জন্য সভা করি এবং বক্ততাপূর্বক বিলাপ করিতে থাকি। সাধারণাহিত্যকরকার্য্যে হস্তক্ষেপ করিয়া, দেশের সেবা করিতে গিয়া, হরিনাথকে সমূহ বিপদজালে জড়িত হইতে হইয়াছিল। কিন্তু কোন বিপদেই হরিনাথকে কাতর ও অধীর করিতে পারে নাই। এই সময়ে তিনি নিৰ্ভীকভাবে তেজস্বিতার সহিত গ্রামবার্তা সম্পাদনা করিয়া গিয়াছেন । চতুৰ্থ বর্ষের শেষভাগে তিনি দুঃখ করিয়া বলিয়াছিলেন, যে আত্মতত্ত্ব সম্বন্ধে তঁাহার বক্তব্য ফুরায় নাই, তাহার আরও অনেক বলিবার আছে। যখন শ্রোতৃবর্গ অনেক পরিমাণে প্ৰস্তুত হইয়াছিলেন, যখন তঁহাদের হৃদয় ক্রমশঃ এই সকল গুরুতর বিষয়ে ধারণা করিতে সমর্থ হইতেছিল, তখন উপদেশগুলি আরও মূল্যবান ও মনোরম হইত, তদ্বিষয়ে সন্দেহ নাই। দেশের অবস্থা, সমাজের অবস্থা প্ৰভৃতি তিনি কিরূপ পৰ্য্যালোচনা করিয়াছিলেন এবং কিরূপ বিচক্ষণ দূরদর্শী চিকিৎসকের ন্যায় তিনি তাহার তীকার নির্ণয়ে আপনার চিন্তাশক্তি নিয়োজিত করিয়াছিলেন তাহা এই ক্ষুদ্র গ্রন্থে বলিবার অবকাশ হইবে না । সমাজের নিক্রিয়তা ও অসাড়ত। তাঁহাকে ব্যথিত করিল। এদিকে বাদ্ধক্যের সঙ্গে সঙ্গে ক্রমে ঋণভার বৃদ্ধিপ্ৰাপ্ত হইতে লাগিল। তাহা পরিশোধের অন্য উপায় দেখিলেন না। তখন তঁহার প্ৰিয়তম শিষ্য শ্ৰীযুক্ত অক্ষয়কুমার মৈত্ৰেয়, শ্ৰীযুক্ত প্ৰসন্নচন্দ্ৰ বন্দ্যোপাধ্যায় প্ৰভৃতি কয়েকজন কৃতবিদ্য সুশিক্ষিত ব্যক্তি এবং এই অধম লেখক গ্রামবার্তা সম্পাদনের ভার গ্ৰহণ করিয়া, কাঙ্গালকে ধৰ্ম্মচিন্তায় অবসর প্রদান করেন। কিন্তু “নেব।” “দেব না”, যে দেশের
