পাতা:কাঙাল হরিনাথ - জলধর সেন.pdf/৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

VOV कांक्रांव्ल इंब्रिन्त्रांथ “আমি যে সময়ে এই অসহ্য যন্ত্রণায় নিম্পেষিত হইতেছি, সেই সময়ে সাধারণ ব্ৰাহ্মসমাজের প্রচারক ভক্ত-চূড়ামণি বিজয়কৃষ্ণ গােস্বামী মহাশয় ব্ৰাহ্মসমাজের উৎসবে নিমন্ত্রিত হইয়া কুমারখালীতে আসিয়া কাঙ্গালের কুটীরেই সপরিবারে অবস্থান করিলেন। আমি তাঁহাকে না বলিলেও তিনি নিজ প্রভাবেই আমার যন্ত্রণা বুঝিতে পারিয়া সাস্তুনা পূর্বক এই ভাবে উপদেশ প্ৰদান করিলেন যে, সর্বপ্রকার উত্তাপ সহ্য করিয়া ক্ষেত্র কর্ষণ ও পরিষ্কার কর, অমৃত ফল ফলিবে। “এই সময়ে একদিন আমার জ্বর বোধ হওয়ায় কুশাসনে শয়ন করিয়া আছি। ইহা ত শারীরিক কোন প্রকার জ্বর নহে ; ইহা মৰ্ম্মাঘাত ও চিন্তা-জ্বর, অনলদগ্ধের ন্যায় হৃদয় দগ্ধ করিতেছে। সুতরাং নিদ্রা নাই । কিন্তু চক্ষু মুদ্রিত এবং নিদ্রার ন্যায় অভিভূত। স্কন্ধাদেশ হইতে চরণ পৰ্যন্ত অব্যক্ত মহাদেবী জগন্মাতার একখানি অভূতপূৰ্ব মুখ আমার মুখের উপরে প্রকাশিত হইল। শরীর চকিত হইয়া উঠিল। এ কি ব্যাপার! ভাবিতে ভাবিতে চক্ষুর জলে দগ্ধ হৃদয় শীতল হইতে লাগিল। তখন রাত্ৰি প্ৰায় শেষ হইয়াছে। যিনি আমার মুখের উপর মুখ প্ৰকাশ করিয়া সান্ত না করিয়াছিলেন, এ সকল তঁহারই খেলা। তিনি অব্যক্ত হইয়াও, যে র্তাহার হয়, তাহার নিকট ব্যক্ত হইয়া তাহাকে সান্তন করেন। তখন আমার এই বিশ্বাস এত বলবতী হইয়া উঠিল যে, আমি যে রূপ দেখিয়াছিলাম। সেই চিন্ময় রূপ দেখিবার নিমিত্ত অতিশয় ব্যাকুল হইলাম ; এবং এক্ষণে সংসারের সকল প্ৰকার জালাযন্ত্রণা ভুলিয়া গিয়া তাহাকে দেখিবার নিমিত্ত প্ৰতিদিন বিরলে বসিয়া তাহার নিকটেই কঁদিতে আরম্ভ করিলাম। আমি কি ছিলাম, কে আমাকে এরূপ করিল ? সংশোধন করিয়া আমার হৃদয়-ফলক এমন নিৰ্ম্মল করিল যে, তাহা অব্যক্তের স্বরূপশক্তি প্ৰকাশের মত করিয়া তুলিল।”