পাতা:কাঙাল হরিনাথ - জলধর সেন.pdf/৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७४” কাঙ্গাল হরিনাথ । আসিতে আরম্ভ করিল। এ দিকে রেলপথেও বহুদূর হইতে অনেকে আসিতে লাগিল। সকুলেরই অনুরোধ, তাহাদের গ্রামে একবার ফিকিরচাঁদের দলের পদাৰ্পণ করিতে হইবে। শ্ৰীমান অক্ষয়কুমার কয়েকদিন বাড়ীতে থাকিয়াই, রাজসাহী চলিয়া । গেলেন। আমি তখন গোয়ালন্দে স্কুল-মাষ্টারী করি। আমিও কৰ্ম্মস্থলে চলিয়া গেলাম। কিন্তু ফিকিরাচাদের এমন আকর্ষণ যে, আমি প্রতি শনিবারের রাত্ৰিতে বাড়ী যাইতাম এবং যে একদিন থাকি,তাম, সমস্ত কাৰ্য্য ফেলিয়া নুতন নূতন গান শুনিতাম। আমরা তখন বাহিরে পড়িয়া গেলাম। ফিকিরর্চাদের গানের দলের ব্যবস্থার ভার কাঙ্গালের উপরই *ऊिंळ । চারিটুিকু হইতে যখন নিমন্ত্রণ আসিতে লাগিল, তখন কাঙ্গাল এই নিয়ম করিয়া দিলেন যে, ফিকির চাঁদের দল গ্রামেই হউক বা বিদেশেই । হউক, যেখানে যাইবেন, সেখানে কাহারও গৃহে অতিথি হইতে পরিবেন। না, সামান্য একছিলিম তামাকও বাড়ী হইতে লইয়া যাইতে হইবে। তবে দলের লোকদিগের গৃহে গেলে এ নিয়ম খাটিবে না। পাছে ইহা একটি ব্যবসায়ে পরিণত হয়, এই আশঙ্কা করিয়াই কাঙ্গাল এই নিয়ম করিয়া দিলেন। এই সময়ে একদিন পরলোকগত মীর মশারফ হোসেন মহাশয় কুমারখালীতে আসিলেন। তিনি কাঙ্গালের সাহিত্য-শিষ্য ছিলেন। মীর সাহেবের বাড়ী কুমারখালীর অনতিদূরে গৌরী নদীর তটে লাহিনীপাড়া গ্রামে। জাতিতে মুসলমান হইলেও তিনি বাঙ্গালা ভাষাকে মাতৃভাষা বলিয়া ভক্তি করিতেন। কাঙ্গাল হরিনাথ মীর মশারফ হোসেনকে পুত্ৰবৎ স্নেহ করিতেন এবং বাঙ্গলা লেখা সম্বন্ধে উপদেশ প্ৰদান করিতেন। এই উৎসাহের ফলেই মীর সাহেব বাঙ্গালা-সাহিত্যের একজন