পাতা:কাঙাল হরিনাথ - জলধর সেন.pdf/৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

कांशांक झुद्रिनाथ নিৰ্য্যাতিত করিতে আরম্ভ করিলেন। তাঁহাদের নিমন্ত্রণ বন্ধ হইল। এমন কি আমি জানি যে, এই দলের একজন ভদ্রলোক কোন হিন্দুসমাজ- ; ভূক্ত উকিলের বাসায় গমন করিয়া তাহার ফরাসে উপবেশন করিয়াছিলেন । বলিয়া সেই ভদ্রলোকের সম্মুখেই হুকার জল ফেলিয়া দিবার জন্য উকিলবাবু চাকরদিগকে আদেশ করিয়াছিলেন। ফরিদপুর হইতে প্ৰত্যাগমনের সময় এই কথা আমি কাঙ্গালকে বলিয়া- ৷ ছিলাম। তিনি আমার কথা শুনিয়া বলিলেন, “তবে আজ আমার বাড়ী যাওয়া হইবে না । দুইদিন তোর বাসাতেই থাকিতে হইতেছে।” এই কারণেই কাঙ্গাল হরিনাথ দলবলসহ গোয়ালন্দে আমাদের ক্ষুদ্র কুটীরে উপস্থিত হইয়াছিলেন। সন্ধ্যার সময় সকলে আমাদের বাসায় পৌছিলেন। আমার বড়দাদা এবং আমাদের বাসার সকলে হাতে স্বৰ্গ পাইলেন। রাত্ৰিতে কাঙ্গাল হরিনাথ বড়দাদার নিকট স্থানীয় দলাদলির কথা সমস্ত শুনিলেন। তাহার | পর যখন সকলে শয়ন করিবার আয়োজন করিতে লাগিলেন, তখন | কাঙ্গাল আমাকে ডাকিয়া বলিলেন “দেখ, আমি এখানকার দলাদলি মিটাইয়া দিয়া তবে বাড়ী যাইব ।” আমি বলিলাম “পরিবেন কি ?” তিনি তখন গভীরভাবে বলিলেন “নিশ্চয়ই পারিব। দেখতে পাচ্ছিন্স না, কি অমোঘ অস্ত্ৰ তোরা আমার হাতে দিইছিস। এই ফিকিরীচাঁদ অস্ত্ৰে তোরা যে পৃথিবী জয় ক’রতে পারিস, একথা কি এখনও বুঝতে পারিস নাই।” কাঙ্গালের কথাগুলি আমার নিকট দৈববাণী বলিয়া বোধ হইতে লাগিল ; আমি তাহার মুখের দিকে চাহিয়া রহিলাম। কতদিন চলিয়া গিয়াছে ; জীবনের উপর দিয়া কত ঝড়, কত ঝঙ্কা বহিয়া গিয়াছে; কিন্তু এখনও কাঙ্গালের সেই রাত্রির মূৰ্ত্তি আমার নয়নসম্মুখে প্রতিভাত রহিয়াছে। : কত কথা ভুলিয়া গিয়াছি, কত লোকের কত উপকার বিস্মৃতি হইয়াছি2