পাতা:কাঙাল হরিনাথ - জলধর সেন.pdf/৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

e কাঙ্গাল হরিনাথ আবার, বৈশ্যকে উদ্ধারের তরে, তুমি করলে কীৰ্ত্তি এ সংসারে, ব্ৰহ্মজ্ঞান দিয়ে তারে মা গো ! ব্ৰহ্মজ্ঞান দিয়ে তারে মুক্তি দিলে। ২। যদিও অনেকদিন সেই গত ত্ৰেতা, তবু আছে মা পুরাণে গাথা, রাবণ হরিল সীতা, যুদ্ধ হয় সাগরকুলে ; সেই দেবদ্বেষী রাবণেরে, তুই কোলে নিলি রথােপরে, কি গুণে কোলে নিলি মা গো, কি গুণে কোলে নিয়ে দিলি ফেলে। ৩। ও মা ! কালকেতু এক ব্যাধের ছেলে, তারে অভয় দিয়ে করলি কোলে, আমার দিক হীন ব’লে দোষ আছে কি চাহিলে ; যদি চাইলে হয় তোর দোষের কথা, তবে বল মা ! আমি দাড়াই কোথা, কলঙ্ক হবে তোমার মা গো, কলঙ্ক হবে আমায় ফেলে গেলে । ৪ । ও মা ! যার স্মৃতিতে বঙ্গশাসন, সেই দ্বিজপুত্র রঘুনন্দন, করলি তার দুঃখমোচন, কলিকার আগুণ যোগালে ; আবার সত্য মিথ্যা জান তুমি, ইহা লোকের মুখে শুনি আমি, প্ৰসাদের বেড়ার বাধন মা গো । রামপ্ৰসাদের বেড়ার বঁাধন ফিরিয়েছিলে। ৫ । আজ, ফিকিরর্চাদ বাজায়ে বগল, বলে যে ধ’রেছি। চরণযুগল, ছাড়ব না হ’ক গণ্ডগোল, তুই যদি না দিস ফেলে ; যদি না রাখিস এই ছেলের কথা, তবে খাস মা তোর ভক্তের মাথা ; দেখ আজ কেমনে যাস মা গো ! দেখােব আজ কেমনে যাস কথা ঠেলে । রাজসাহীতে প্ৰতি বৎসর বড়দিনের সময় ব্ৰাহ্ম-সমাজের উৎসব হইয়া থাকে। যখন শ্ৰীমান অক্ষয়কুমার মৈত্ৰেয়ের পিতা পরলোকগত মথুরা