পাতা:কাঙাল হরিনাথ - জলধর সেন.pdf/৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

कांक्षांळ शङ्गिनांशं ዓዓ গাও “আৰ্যস্থান আৰ্যসন্তান।” এ ত জাতীয়-সঙ্গীত ; এর সঙ্গে ব্ৰাহ্ম-ধৰ্ম্মের বা ধৰ্ম্মের সম্বন্ধ কি ? সংকীৰ্ত্তনে ভগবানের নাম গান করা সেই চৈতন্যের আমল থেকে চ’লে আসছে। সংকীৰ্ত্তন অর্থই নাম-সংকীৰ্ত্তন।” কাঙ্গাল হাসিয়া বলিলেন “আগে তোমার কথারই জবাব দিই; তার পর আমার কথা বলব। দেখ জ্বর থেকে উঠলে অনেক লোকেরই বড় অরুচি জন্মে ; ভাত, মাচ, ডাল, তরকারী কিছুই ভাল লাগে না, সবই বিস্বাদ বোধ হয়। তখন কি ক্রমাগত ভাত খাওয়াইয়া তাহদের অরুচি দূর করা যায় ; সেই সকল রোগীর জন্য অন্য নানা রকম পথ্যের ব্যবস্থা করিতে হয়। সেই সকল পথ্য দিয়া ক্ৰমে ক্রমে ভাতের উপর রুচি জন্মাইতে হয় । ভগবানের নামে রুচিও তেমনই করিয়া জন্মাইতে হয়। দেখােচ না, দেশটা কেমন হ’য়ে গিয়েছে, সব রোগে জীৰ্ণ-ভবরোগে ভুগিয়া লোকের এখন আর নামে রুচি নাই। এখন যিনি সুবৈদ্য, তিনি কি আর শুধু নাম দিয়া এ অরুচি নিবারণ করিতে পরিবেন ? তা হবে না। শোন, ইহা বৈদ্যনাথের আদেশ ! বৈদ্যনাথ বলিতেছেন যে, . অন্য পথ্যের ব্যবস্থা প্ৰথমে কর, তারপর নামামৃত পান করাইও । আমরা বেশ বুঝিতে পারছি যে, দেশের লোকের মধ্যে দেশের কথা একটু সাড়া দিয়াছে। এখন দেশের কথার ভিতর দিয়া যাইতে হইবে। এ সকল রোগীর মুখে এখন দেশের অবস্থার চাটনি দিতে হইবে ; তাতে রুচি জন্মাবে। তারপর ধীরে ধীরে দেশের কথা হইতে দশের কথা, তাহার পর দেশের যিনি কৰ্ত্তা তাহার কথায় লোকের রুচি জন্মিবে। আমি বলিতেছি, এই পথ—এই পথ !! রাজসাহীতে এই পথ ধরিতে হইবে, এ সংবাদ আমি পাইয়াছি, এ কথা আমি বেশ বুঝিতে পারিয়াছি। তাই ব্ৰাহ্মসমাজের সংকীৰ্ত্তনে ব্ৰহ্মনামের বদলে আৰ্যস্থানের আর্যসন্তানের কথা বলিতে চাই। আরও একটা কথা বলিয়া রাখি ; তোমরা দেখিতে