পাতা:কাঙাল হরিনাথ - জলধর সেন.pdf/৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাঙ্গাল হরিনাথ سیاه পাইবে, এই পথ দিয়ে গিয়ে পরে অনেক কাজ হবে। আমি তখন হয় তা বেঁচে থাকব না, কিন্তু তোমরা দেখতে পাবে, এই দেশের কথা হইতেই দেশের মালিকের কথা দেশময় প্রচারিত হবে।” বহুদিন পূর্বের কথা, তখন স্বদেশীর প্রচার হয় নাই, তখন কনগ্রেসের জন্ম হয় নাই ; সেই সময় কাঙ্গাল হরিনাথ কথাগুলি বলিয়াছিলেন, আর সে কথাগুলি আমি আমার ক্ষুদ্র একখানি নোটবুকে লিখিয়া রাখিয়াছিলাম ; এমন অনেকের অনেক কথা আমার কাছে লেখা আছে। আজ এতদিন পরে সেই কথা বলিবার জন্যই কাঙ্গালের রাজসাহী গমনের কথা তুলিয়াছি। কাঙ্গালের ভবিষ্যৎদৃষ্টি, কাঙ্গালের অমানুষী প্ৰতিভা, কাঙ্গালের দূরদর্শন, এই কয়েকটী কথা হইতে কি বুঝিতে পারা যায় না ? সাহিত্য-সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্রও তাঁহার ‘বন্দেমাতরম গান লিখিবার পর এই রকমের একটা কথাই বলিয়াছিলেন!! কাঙ্গাল যাহা বলিয়াছিলেন, তাহার সার্থকতা সম্বন্ধে এখন কি কেহ সন্দেহ করিতে পারেন ? লোকের কথার মধ্য দিয়া কি সকলে লোকনাথের দিকে আকৃষ্ট হইতেছেন না ? যথাসময়ে সংকীৰ্ত্তনের দল বাহির হইল। আমরা যে গান লইয়া বাহির হইয়াছিলাম। সেইটির আগাগোড়া উদ্ধত করিতেছি। গানটি এই— “এই কি সেই আৰ্য্যস্থান আৰ্য্যসন্তান ? ও যার তপোবলে যোগবলে কঁাপিত দেবতার প্রাণ । ও যার হেরে বীৰ্য্যাবল, স্বৰ্গ মৰ্ত্ত রসাতল, সািভয়ে কাপিত গিরি সাগরের জল ; দিগ দিগন্তরে, শূন্য ভরে, উড়িত বিজয়-নিশান । ২ । যার শিল্প আর বিজ্ঞান, যোগতত্ত্ব, আত্মজ্ঞান, করেছিল পৃথিবীর একদিন চক্ষু দান ; যার, বিদ্যাবলে আকাশতলে চলে যেত পুষ্পযান ।