পাতা:কাঙ্গালের ঠাকুর - জলধর সেন.pdf/২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

) কাঙ্গালের ঠাকুর বন্ধ হ’য়ে এল! আমি চীৎকার ক’রে ডাকলাম-প্ৰভু, দয়াল ঠাকুর আমার -ঠাকুর, আর একবার আমার চোখ দুটো খুলে দাও-আর একবার তোমার চাদমুখখানি দেখতে দাও ;-তারপর আর আমি চোখ খুলব না—আর আমি কিছুই চাইব না। হায় রে অভাগী, হায় রে আমার কপাল -ঠাকুরের আর দয়া হোলো না-আমার চোখ আর খলিল না । কিন্তু তখনও সেই শীতল হাত আমার গায়ে রয়েছে । আমার তখন মুখ শুকিয়ে গিয়েছিল— আমি অতি ধীরে বললাম, -একটু জল। সুরেশ, বাবা আমার, ভাল কবে শোন। সত্যিই আমার মুখে কে জল দিল । সে তি, জল নয় — সো চরণামৃত । তেমন জাল ত কখনও খাইনি, —কি যে তার গন্ধ - আর কি যে তার স্বাদ । সে অমৃত, রে। বাপ-সে অমৃত । আমার সকল জ্বালা-যন্ত্রণ সেন দূর হয়ে গেল । এ স্বপন নয় বাবা ! সত্যি কথা ! আমার শরীর যেন জুড়িয়ে গেল—আমার রোগ সেন পালিয়ে গেল। যাকে সন্ধ্যার পর সকলে মড়া মনে করে 'কেলে গিয়েছিল, সে যে ভাল হয়ে গেল। হঠাৎ গাছের উপর একটা পাখী ডেকে উঠল। সেই ডাকে আমার বুকে যেন বল এল । আমার চোখ খুলে গেল । আমি চেয়ে দেখি, ভোর হয়ে গেছে ; পথ দিয়ে যাত্রীরা সব যাচ্ছে । কিন্তু, আমার কাছে ত কেউ নেই-সেই গাছতলায় আমি এস্ত্ৰকলা শুয়ে আছি। শরীরে কোন যন্ত্রণ নেই ; রাত্রে যে মরতে বসেছিলাম, তেমন বোধও হােলো না। ;-আমার