পাতা:কাঙ্গালের ধন - ভবতারা দাসী.pdf/২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“སོགི་༥༠ কাঙ্গালের ধন । বাল্য বয়সে যখম ছেলেরা লেখাপড়া করে, তখন তাহাদের মনে কত প্রফুল্লত, কত তেজ, কত উদারতা থাকে। তখন তাহার। বাটীর সর্বস্থানে বসিতে, দাড়াতে কোন “কিন্তু” বোধ করে না, এবং সকল ঘরের পরিচ্ছন্নত, সকল দ্রব্যের যত্ন খোজে। কিন্তু যেই যৌবনে পদার্পণ ফরিয়ু বিবাহ করিল, অমনি তাহার সমস্ত উদ্যম ক্রমে ক্রমে সংকীর্ণ হইতে আরম্ভ হইল । শেষে এত সংকীর্ণ হইল যে সমস্ত বাড়ীটী একখান ঘরে পরিণত করিল। অর্থাৎ তখন “আমার* বলিবার শক্তি জন্মাষ্টল । তাহার স্তখন আমার বউ, আমার ঘর, আমার বিছানা, আমার ৰালিস, অামার কাপড়, আমার দেরাজ; কেবল “আমার” *আমার” চিস্ত আরম্ভ হইল । যতদিন না বিবাহ করে প্তপ্তদিন আমার* *আমার” বলেন ও ভাবে না । এইবার ভাবিয়া দেখুন ‘মোহে অৰ্থাৎ আমার আমার শব্দে সংকীর্ণতা আসে কিনা ? আবার যেই ছেলে হলো-মোহ তখন মায়ারূপ খায়ণ করিল। মায়াতে আরও সংকীর্ণত। জারম্ভ হইল। মন যন্ত সংকীর্ণ হইয়া আসে তত মনের কষ্ট আরম্ভ হইতে থাকে। মায়া প্রথমে ছেলের ভিতর থেকে উকি মারে। সেইজন্ত ছেলের কিছু হইলেই পিতামাতা ভাবিয়া আকুল হয়। ঐ রূপ ভাবিয়া লোকে