পাতা:কাদম্বরী (কিশোরপাঠ্য).djvu/১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাদম্বরী এ সামান্ত পাখীর জীবন-কাহিনী শুনিতে যখন আপনার এত অনুগ্রহ হইয়াছে, তখন সমস্ত কথাই বলিতেছি ? ভারতবর্ষের ঠিক মধ্যস্থলে বিন্ধ্য পৰ্ব্বত । তাহারই কাছে এক প্রকাণ্ড বন, নাম বিন্ধ্যাটবী । এই বিন্ধ্যাটীতেই রাবণের অনুচর মারীচ সোনার হরিণের রূপ ধরিয়া সীতাকে মুগ্ধ করিয়াছিল, শ্রীরামচন্দ্রও ইহার মায়ায় ভুলিয়৷ ইহাকে ধরিবার জন্য পিছনে ছুটিয়াছিলেন । সেই সুযোগে রাবণ রাজ এখন হইতেই সীতাকে হরণ করিয়া নিয়াছিল । শ্রীরামচন্দ্রের আশ্রম যেখানটায় ছিল, তারই কাছে পম্প নামে এক সরোবর আছে । পম্পার পশ্চিম তীরে অাছে একটা প্রকাণ্ড শিমুল গাছ। ঐ গাছটার ,গাড় বেড়িয়া মন্তবড় একট। অজগর সাপ থাকিত । চারিদিকের অসংখ্য পাখী ঐ গাছের ডালে বাসা বাধিয়া বাস করিত । সেই শিমুল গাছের এক কোটরের মধ্যে আমার বাব ও মা থাকিতেন। আমাকে প্রসব করিয়াই আমার মা মারা যান। মামার বৃদ্ধ পিতা আমাকে অতি যত্নে লালন-পালন করেন। আমাকে ছাড়িয়া তিনি একটু সময়ের জন্যও দূরে যাইতেন না। অন্তান্স পার্থীরা খাইয় গেলে যে সামান্য খাদ্য তাহদের ঠোঁট হইতে গাছের তলায় পড়িত, তাহাই তিনি কুড়াইয়া অামিয়া, আমাকে খাওয়াইতেন। আমি 8