পাতা:কাদম্বরী (কিশোরপাঠ্য).djvu/৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাদম্বরী দূতদেব মুখে ঘটনা শুনিয়া মহারাজ তারাপীড, মহাবাণী বিলাসবতী, মন্ত্রী শুকনাস ও মন্ত্রীর পত্নী মনোরম শোকে দুঃখে ভাঙ্গিয়া পড়িলেন । তাহার। অনতিবিলম্বে অচ্ছোদ সরোববেল তীরে আসিয়া চন্দ্রাপীড়ের অবিকৃত মৃতদেহ দেখিয়া অবাক হইয়া গেলেন। বাজ ও বাণী পুত্রবধ কাদম্বরীর চবিত্রমাধুর্য্যে মুগ্ধ হইয়। তাত কে কত আশীৰ্ব্বাদ করিলেন। বাজা-বাণী, মন্ত্রী ও মনোরম। কাদম্ববী ও মহাশ্বেতাকে ছাড়িয়া যাইতে পাবিলেন না । তাহারা আশ্রমের অনতিদূবে আবাস স্থাপন কবিয়া পুত্ৰগণের জীবন প্রাপ্তির আশায় তপস্বী ও তপস্বিনীব দ্যায় বাস করিতে লাগিলেন । কাদথবী ও মহাশ্বেত তাহাদেব জীবনেব প্রধান অবলম্বন হইয়া উঠিলেন । মহর্ষি জাবালি তাহাব কথা শেষ করিয়া হাসিযা বলিলেন . আমি তোমাদিগকে সমস্ত ঘটনাই বলিলাম। যে মুনিপুত্র পুণ্ডবীক নিজের ব্রহ্মচৰ্য্য ও ছাত্র-জীবনের কৰ্ত্তব্য ভুলিয়৷ মহাশ্বেতাকে ভালবাসিয়া মরিয়াছিল, তারপর শুকনাসেব পুত্ররূপে জন্মিয়াও যাহার সে মোহ কাটে নাই, ফলে নিজেব ভালবাসার পাত্রী মহাশ্বেতার শাপে যাহ কে পক্ষী রূপে জন্মিতে হইয়াছে, তিনি এষ্ট । এই কথা বলিয়া আঙুল দিয় আমাকে দেখাইয়া দিলেন । সঙ্গে সঙ্গে পূৰ্ব্ব জন্মেব কথা আমার মনে হইল। আরো আশ্চর্য্যের ব্যাপার, আমি ԳՆ