কাদম্বরী। స్క్రి) হুইয়া বন্ধু বুঝি, সেই কামিনীর অনুগামী হইয়া থাকিবেন। আবার মনে করিলাম সেই সুন্দরীর গমনের পর চৈতন্যোদয় হওয়াতে লজ্জায় আমাকে মুখ দেখাইতে না পারিয়া বুঝি, কোন স্থানে লুকাইয়া আছেন ; কি আমি ভৎসনা করিয়াছি বলিয়া ক্রুদ্ধ হইয়া কোন স্থানে প্রস্থান করিয়াছেন ; কিম্বা আমাকেই অন্বেষণ করিতেছেন। আমরা দুই জনে চিরকাল একত্র ছিলাম, কখন পরস্পর বিরহদুঃখ সহ করিতে হয় নাই। সুতরাং বন্ধুকে না দেখিয়া যে কত ভাবনা উপস্থিত হইল তাহ বাক্য দ্বারা ব্যক্ত করা যায় না । পুনর্বার চিন্তা করিলাম বন্ধু আমার সমক্ষে সেইরূপ অধীরতা প্রকাশ করিয়া অতিশয় লজ্জিত হইয়া থাকিবেন। লজ্জায় কে কি না করে ? কত লোক লজ্জার হস্ত হইতে পরিত্রাণ পাইবার নিমিত্ত কত অসদুপায় অবলম্বন করে। জলে, অনলে ও উদ্বন্ধনেও প্রাণত্যাগ করিয়া থাকে। যাহা হউক, নিশ্চিন্ত থাকা হুইবে না অন্বেষণ করি। ক্রমে তরুলতাগহন, চন্দনবীথিকা, লতামগুপ, সরোবরের কূল, সৰ্ব্বত্র অন্বেষণ করিলাম, কুত্রাপি দেখিতে পাইলাম না। তখন স্নেহ কাতর মনে অনিষ্ট শঙ্কাই প্রবল হইয়া উঠিল। ৩ পুনৰ্বার সতর্কতাপূৰ্ব্বক ইতস্তত: অন্বেষণ করিতে করিতে দেখিলাম সরোবরের তীরে নানাবিধ লতাবেষ্টিত নিভৃত এক লতাগহনের অভ্যন্তরবর্তী শিলাতলে বসিয়া বাম করে বাম গগু সংস্থাপনপূর্বক চিন্তা করিতেছেন। দুই চক্ষু মুদ্রিত, নেত্রজলে কপোলযুগল ভাসিতেছে। ঘন ঘন নিশ্বাস বহিতেছে। শরীর স্পন্দরহিত, কান্তিশূন্ত ও পাণ্ডুবর্ণ। হঠাৎ দেখিলে চিত্রিতের স্বায় বোধ হয়। এরূপ জ্ঞানশূন্ত যে, করপাদপের কুসুমমঞ্জরীর
