পাতা:কাদম্বরী (চতুর্থ সংস্করণ).djvu/১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অনায়াসে অনুমান করা যাইতে পারে যে, তিনি কাদম্বরী গ্রন্থখানিকে অত্যন্ত প্রতির চক্ষুতে দেখিতেন। প্রৌঢ়ত্বে পদার্পণ করিতে-না-করিতেই তিনি ইহ লোক ত্যাগ করেন । পূৰ্ব্বেই বলিয়াছি, তারাশঙ্কর বিদ্যাসাগর মহাশয়ের বয়ঃকনিষ্ঠ —দশ বৎসরের ছোট। সুতরাং সাহিত্যিক-হিসাবে তাহারা দুই জনে সমসাময়িক ব্যক্তি। ১৮৪৭ খৃষ্টাব্দে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের “বেতাল-পঞ্চবিংশতি, ১৮৪৯ খৃষ্টাব্দে ‘জীবন-চরিত’ এবং ১৮৫০ খৃষ্টাব্দে ‘শকুন্তলা’ প্রকাশিত হয়। পূর্বেই বলিয়াছি, ১৮৫৪ খৃষ্টাব্দে, অর্থাৎ ‘শকুন্তলা’ প্রকাশিত হইবার তিন বৎসর পরে, তারাশঙ্করের “কাদম্বরী’ প্রকাশিত হয়। আমার পিতামহ গঙ্গাচরণ সরকার মহাশয় ১২৮৬ সালে ঢাকাকলেজ-গৃহে ‘বঙ্গসাহিত্য ও বঙ্গভাষা’ শীর্ষক একটি নাতিক্ষুদ্র, নাতিদীর্ঘ প্রবন্ধ পাঠ করেন । এই প্রবন্ধ পরে পুস্তিকাকারে মুদ্রিত হইয়াছিল। বলা বাহুল্য, বাঙ্গালা সাহিত্যের ক্রম- ও গতি-বিষয়ক আলোচনা এই প্রবন্ধেই সৰ্ব্বপ্রথম অনুস্থত হইয়াছিল । ইহা প্রকাশিত হইবার পরে রামগতি ন্যায়রত্ন মহাশয় তাহার প্রসিদ্ধ গ্রন্থ ‘বাঙ্গালা ভাষা ও বাঙ্গাল সাহিত্য বিষয়ক প্রস্তাব” প্রকাশ করেন । পিতামহের এই ক্ষুদ্র পুস্তিকায় বিদ্যাপতি হইতে আরম্ভ করিয়া বঙ্কিমচন্দ্ৰ পৰ্য্যন্ত অধিকাংশ প্রধান প্রধান লেখকের রচনাভঙ্গির পরিচয় ও সমালোচনা আছে । ইহার শেষ-ভাগে লিখিত আছে — "বিদ্যাসাগর মহাশয়ের বেতালপঞ্চবিংশতি ও জীবন চরিতের পর পণ্ডিতবর