কাদম্বরী “রঙ ফলাইতে কবির কী আনন্দ ! যেন শ্রান্তি নাই তৃপ্তি নাই। সে রঙ শুধু চিত্র প্রটের রঙ নহে, তাহাতে কবিত্বের রঙ আছে, ভাবের রঙ আছে।-- সংস্কৃত কবিদের মধ্যে চিত্রাঙ্কনে বাণভট্টের সমতুল্য কেহ নাই, এ কথা আমরা সাহস করিয়া বলিতে পারি। সমস্ত কাদম্বরৗকাব্য একটি চিত্রশালা।" সাধারণত লোকে ঘটনা বর্ণনা করিয়া গল্প করে-বাণভট্ট পরে পরে চিত্র সজ্জিত করিয়া গল্প বলিয়াছেন,--এজষ্ঠ তাহার গল্প গতিশীল নহে, তাহ বর্ণচ্ছটার অঙ্কিত। চিত্রগুলিও যে ঘনসংলগ্ন-ধারাবাহিক তাহ নহে ; এক একটি ছবির_চারিদিকে প্রচুর কারুকার্যবিশিষ্ট বহুবিস্তুত ভাষার সোনার ফ্রেম দেওয়া, ফ্রেমসমেত সেই ছবিগুলির সৌন্দৰ্য আস্বাদনে যে বঞ্চিত সে দুর্ভাগ " এইবার মূল গ্রন্থ হইতে কিয়দংশ উদ্ধার করিব এবং আধুনিক লেখ্য ভাষায়, অর্থাৎ যে ভাষায় এখনও আমরা অধিকাংশ লেখক গম্ভীর বিষয়ক গ্রন্থ ও প্রবন্ধাদি লিখি, সেই উদ্ধত অংশের শব্দগত অনুবাদ লিপিবদ্ধ করিব । to “একদা তু নাতিদূরোদিতে নবনলিনদলসম্পূটভিদি কিঞ্চিযুক্তপাটলিম্বি ভগবতি মরীচিমালিনি রাজানমস্তিানমণ্ডপগতমঙ্গনাজনবিরুদ্ধেন বামপাশ্বর্ণবলম্বিত কৌক্ষেয়কেণ সন্নিহিতবিষধরেব চন্দনলতা ভীষণরমণীয়াকৃতিঃ অবিরলচন্দনানুলেপনধবলিতস্তনতটা উত্মজ্জদৈরাবতকুস্তমণ্ডলেব মন্দাকিনী চূড়ামণিসংক্রান্তপ্রতিবিম্বচ্ছলেন রাজাজেব মুক্তিমতী রাজভিঃ শিরোভিরুহ্যমান শরদিব কলহংসধবলাম্বর জামদগ্নপরশুধারেব বশীকৃতসকলরাজমণ্ডলা বিন্ধাবনভূমিরিব বেত্ৰলতাবতী রাজ্যাধিদেবতেব বিগ্রহিণী প্রতীহারী সমুপস্থতা ক্ষিতিতলনিহিতজানুকরকমলা সবিনয়মব্ৰবীৎ—দেব দ্বারস্থিত সুরলোকমারোহতন্ত্রিশস্কোরিব কুপিতশতমখহুঙ্কারনিপাতিতা রাজলক্ষ্মীদক্ষিণাপথাদাগত। চণ্ডালকস্তক পঞ্চরস্থং শুকমাদায় দেবং বিজ্ঞাপয়তি—সকলভুবনতলসৰ্ব্বরত্নানামুদধিরিবৈকভাজনং দেব বিহঙ্গমঞ্চায়মাশ্চৰ্য্যভূতে নিখিলভুবনতলরত্নমিতি কৃত্ব দেবপাদমূলমেনয়াদায়াগতাহমিচ্ছামি দেবদর্শনমুখমমুভবিতুম্ ইতি। এতদাকর্ণা দেবঃ প্রমাণমিত্যুক্ত বিররাম। উপজাতকুতুহলপ্ত রাজা সমীবৰ্ত্তিনাং রাজ্ঞামবলোক্য মুখানি কে দোষং প্রবেণ্ঠতাম ইত্যাদিদেশ। অর্থ প্রতীহারী নরপতিকখনানন্তরমুখায় তাং মাতঙ্গকুমারীং প্রবেশয়s " . . . . ; } {
