পাতা:কাদম্বরী (চতুর্থ সংস্করণ).djvu/৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
কাদম্বরী :

বয়সে পুনরায় কাদম্বরীর সমালোচনা করিবার অবসর ও সুযোগ পাইলে তিনি স্বয়ং তাহার এই ক্রটি ও বিচূতিও স্বীকার করিতেন। আর এইখানেই বলিয়া রাখি, তারাশঙ্করের ‘রাসেলাস’ পিতৃদেব ভাল করিয়া পড়েন নাই,-বোধ হয় মনে করিয়া থাকিবেন, ইংরাজীর তর্জমা, ও আর কি পড়িব ! এ কথা জোর করিয়া বলিতেছি, কেন জানেন ?—পিতৃদেব কেরী-মাস ম্যান, রামমোহন-কৃষ্ণ বন্দ্যোর যুগের লেখকগণ হইতে আরম্ভ করিয়া বঙ্কিমচন্দ্রের সময় পৰ্য্যন্ত সকল বিশিষ্ট লেখকের লেখার ও ভাষার আলোচনা নানা স্থানে করিয়াছেন, তাহদের পুস্তকাবলির উল্লেখ করিয়াছেন, কিন্তু কোথাও—কোন স্থানেও রাসেলাসের নাম পৰ্য্যন্ত উল্লেখ করেন নাই, অথচ আপনার লক্ষ্য করিয়া থাকিবেন এমন অপূৰ্ব্ব সুষমাঝরা ভাষা বঙ্গসাহিত্যে বিরল বলিলেও অতিরঞ্জন করা—বাড়াইয়া বলা ত হইবেই না,—সত্যের অপলাপ করাও হইবে না। আর মুকুমারবাবু লিখিয়াছেন,—“ইহার (রাসেলাসের ) রচনা সংস্কৃত-ঘেষা ও বৈশিষ্ট্য-বৰ্জ্জিত। আবার জোর করিয়া বলিব, এই উক্তি সম্পূর্ণ অজ্ঞতাজাত,—তিনিও না পড়িয়া সমালোচকের সিংহাসনে সমাসীন হইয়াছেন,—‘Rasselas’এর তর্জমা—ও আর কি পড়িব ? অার কাদম্বরীকার তারাশঙ্করের রচনা—ও ত নিশ্চয়ই ‘সংস্কৃত-ঘেষা ও বৈশিষ্ট্য-বর্জিত। বলিহারি সমালোচনা ! রাসেলাসের ভাষা সংস্কৃত-ঘেষা ও বৈশিষ্ট্য-বর্জিত কিনা, তাহাই এইবার সংক্ষেপে আলোচনা করিতে চাই। ।