পাতা:কাদম্বরী (চতুর্থ সংস্করণ).djvu/৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাদম্বরী : মাইকেলের মেঘনাদবধে তন্ময় হইয়। গিয় অথবা গলিতদন্ত হইয়া যদি আমরা তাহার ‘ব্রজাঙ্গন কাব্য বিস্কৃত হই, তাহ হইলে তাহার প্রতি অবিচার এবং নিজেদের প্রতি মহাপাপ করা হইবে না কি ? কিন্তু তারাশঙ্করের দুর্ভাগ্য যে, আমরা সকলেই তাহার কাদম্বরীর সমাসবদ্ধ শব্দসম্পদ-সমুদ্র মধ্যে নিমজ্জমান হইয় তাহার সুললিত ও সুমধুর রাসেলসের কথা পূরামাত্রায় ভুলিয়া গিয়াছি। প্রসঙ্গক্রমে জিজ্ঞাসা করি, কাদম্বরীর ভাষা কি সত্যই বিদ্যাসাগরী ভাষা অপেক্ষ অধিকতর সমাসবহুল ও সংস্কৃতানুগ ? আমার ত মনে হয় না ! মনে রাখুন :– “পথের দুই ধারে উন্নত পাদপ সকল বিস্তৃত শাখা প্রশাখা দ্বারা গগন আকীর্ণ করিয়া রহিয়াছে। বোধ হয় যেন, বাহু প্রসারণপূর্বক অঙ্গুলিসঙ্গেত দ্বারা তৃষ্ণাৰ্ত্ত পথিকদিগকে জল পান করিবার নিমিত্ত ডাকিতেছে। স্থানে স্থানে কুঞ্জবন ও লতামণ্ডপ, মধ্যে মধ্যে মন্থণ ও উজ্জল শিলা পতিত রহিয়াছে। নানাবিধ রমণীয় প্রদেশ ও বিচিত্র উপবন দেখিতে দেখিতে কতক দূর যাইয়া বারিণীকরসম্পজ মুশীতল সমীরণম্পর্শে বিগতকুম হইলেন। বোধ হইল যেন, তুষারে অবগাহন করিতেছেন। সরোবর নিকটবর্তী হওয়াতে মনে মনে অতিশয় আহলাদ জম্মিল। অনন্তর মধুপানমন্ত মধুকর ও কেলিপর