পাতা:কাদম্বরী (চতুর্থ সংস্করণ).djvu/৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ পরিচ্ছেদ চন্দ্রাপীড়ের যৌবরাজ্যে অভিষেক কিছু দিনের পর রাজা চন্দ্রাপীড়কে যৌবরাজ্যে অভিষেক করিতে অভিলাষ করিলেন। রাজকুমার যুবরাজ হইবেন এই ঘোষণা সৰ্ব্বত্র প্রচারিত হইল। রাজবাটী মহোৎসবময় ও নগর আনন্দকোলাহলে পরিপূর্ণ হইল। অভিষেকের সামগ্ৰীসম্ভার সংগ্রহের নিমিত্ত লোক সকল দিগ দিগন্তে গমন করিল। ১ একদা কাৰ্য্যক্রমে চন্দ্রাপীড় অমাত্যের বাটতে গিয়াছেন । তথায় শুকনাস তাহাকে সম্বোধন করিয়া মধুরবচনে কহিলেন কুমার! তুমি সমস্ত শাস্ত্র অধ্যয়ন ও সমুদায় বিদ্যা অভ্যাস করিয়াছ, সকল কলা শিথিয়াছ, ভূমণ্ডলে জন্মগ্রহণ করিয়া যাহা । জ্ঞাতব্য সমুদায় জানিয়াছ। তোমার অজ্ঞাত ও উপদেষ্টব্য কিছুই নাই। তুমি যুব, মহারাজ তোমাকে যৌবরাজ্যে অভিষিক্ত ও ধনসম্পত্তির অধিকারী করিতে ইচ্ছা করিয়াছেন। সুতরাং যৌবন, ধনসম্পত্তি, প্রভুত্ব, তিনেরই অধিকারী হইলে । কিন্তু যৌবন অতি বিষম কাল । ঘেীবন রূপ বনে প্রবেশিলে বস্ত জস্তুর ন্তায় ব্যবহার হয়। যুবা পুরুষেরা কাম, ক্রোধ, লোভ প্রভৃতি পশুধৰ্ম্মকে মুখের হেতু ও স্বর্গের সেতু জ্ঞান করে। যৌবনপ্রভাবে মনে এক প্রকার তম উপস্থিত হয়, উহা কিছুতেই নিরস্ত হয় না। যৌবনের আরম্ভে অতি নিৰ্ম্মল বুদ্ধিও বর্ষাকালীন নদীর স্থায়