পাতা:কাফ্রি দাসের বৃত্তান্ত - লী রিচমণ্ড.pdf/২৩

উইকিসংকলন থেকে
পরিভ্রমণে চলুন অনুসন্ধানে চলুন
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

১৯

মনোহর বস্তু দেখিয়া শুনিয়া আমার মন আনন্দেতে পুলকিত হইল।

 আমি অনেকক্ষণ পর্য্যন্ত কাফ্রি সহিত কথা কহিলাম, কারণ তাহার প্রভু সেই দিবসে তাহাকে কতক ঘণ্টার নিমিত্তে ছুটি দিয়াছিলেন। এই সময়ে আমি বাপ্তিস্মের ধারা ও ইতিকর্ত্তব্যতা বিষয়ক কথা তাহাকে বুঝাইয়া দিলাম, তাহাতে সে তদনুসারে আচরণ করিতে ব্যগ্র হইল। আর আমার বিবেচনানুসারে সে বাপ্তাইজিত হইবার যোগ্য পাত্র, ইহা বোধ করিয়া আমি পরমাহ্লাদিত হইলাম, যে সে কাফ্রী ‘পূর্ব্বে দূরস্থ হইলেও খ্রীষ্টের রক্তপাতের গুণে এক্ষণে নিকটস্থ হইয়াছে, অতএব সে ভিন্নজাতীয় ও বিদেশীয় আর না হইয়া পবিত্র লোকদের প্রতিবাসী হওয়াতে ঈশ্বরের পরিজন ভুক্ত হইয়াছে।’

 আমি তাহাকে কহিলাম, ঈশ্বর অনেক জাতীয়দিগকে আপন অনুগ্রহরূপ শিশিরদ্বারা প্রোক্ষণ করিতে অঙ্গীকার করিয়াছেন।

 সে উত্তর করিল, “হাঁ মহাশয়, তিনি আমার মনের পবিত্রতা জন্মাইতে পারেন। তিনি আমাকে প্রক্ষালন করিলে আমি হিম অপেক্ষা শুক্লবর্ণ হইব।”

 তাহাতে আমি কহিলাম, ঈশ্বর তোমাকে এ রূপ আশীর্ব্বাদ করিয়া সর্ব্বপ্রকার উত্তম গুণেতে স্থিরীকৃত করুন।

 কাফ্রী আপন পিতামাতার বিষয়ে প্রেমবোধক কথা কহিলে আমি অধিক আনন্দিত হইলাম। সে বাল্যাবস্থায় তাহাদের হইতে অপহৃত হইয়াছিল, তথাপি তাহাদিগকে বিস্মৃত না হইয়া ঈশ্বর যেন কোন ক্রমে তাহাদিগকে খ্রীষ্টের নিকটে আনয়ন করেন, এই তাহার একান্ত মনের ইচ্ছা ছিল।

 আমি কহিলাম, কি জানি কোন ধর্ম্মপ্রচারক সম্মুখস্থ