২৩
সভাস্থ লোকেরা প্রার্থনা ও ধন্যবাদ করিতে অধিক উদ্যোগী হইবে, ইহাও ভরসা করিলাম।
ইহা স্থির করিয়া আমি কাফ্রিকে সেই স্থানে একবার লইয়া যাইতে তাহার কর্ত্তার অনুমতি প্রার্থনা করিলাম। ধর্মদ্বারা উইলিয়মের মন যে কি আশ্চর্য্য রূপে পরিবর্ত্তিত হইয়াছে, ও তাহাতে তাহার আচার ব্যবহারও পূর্ব্বাপেক্ষা উত্তম হইয়াছে, ইহা জাহাজাধ্যক্ষ সুজ্ঞাত হইয়া আমার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাইয়া অনুমতি প্রদান করিলেন।
নিরূপিত দিবসে আমি ঐ কুটীরে গেলাম। সে কুটীর আমার বাটীহইতে প্রায় দুই ক্রোশ অন্তর, আর এই পুস্তকের দ্বিতীয় ভাগে লিখিত যে পর্ব্বত চূড়াহইতে এমত সুন্দর দর্শন হইল, সেই পর্ব্বতের অধোভাগ দিয়া গেলাম। পর্ব্বতের চূড়া ঢালু থাকা প্রযুক্ত দক্ষিণদিগে তৃণ ভক্ষণকারি মেষ ভিন্ন আর কিছুই দেখা গেল না। কিন্তু কোন২ স্থলে খড়িমাটির শুক্লবর্ণও তৃণের হরিদ্বর্ণদ্বারা পর্ব্বত অতি শোভান্বিত দৃষ্ট হইল।
বামদিগে অর্দ্ধক্রোশ অন্তরে সমুদ্রের জল প্রবেশ করাতে একটা ক্ষুদ্র হ্রদ হইয়াছিল। ঐ হ্রদের এক দিগে মাছুয়া ও মালিমদের কতক গুলিন নৌকা লঙ্গর করা ছিল, আর অন্যদিগে নিকটবর্ত্তি বন ও মাঠের সমীপে গ্রামের ভজনালয় দৃষ্ট হইল। তাহাতে ঘণ্টা সকল বাজান যাইতেছিল, ও তাহাদের মুদু শব্দ জলের উপরে বিস্তারিত হইয়া পর্ব্বতের গহ্বরে প্রবিষ্ট হইলে তাহার প্রতিধ্বনি বার২ শুনা গেল। তত্রস্থ তাবৎ দর্শনই আনন্দজনক ছিল।
আমি গ্রামের মধ্যে অতি সুন্দর স্থানে নির্ম্মিত কতকগুলিন ঘরের নিকট দিয়া গমন করিলাম। সে স্থান শান্তিকচাগের উপযুক্ত বটে। প্রত্যেক ঘর পুষ্পোদ্যানে বেষ্টিত,