“খ্রীষ্টের রক্ত তাবৎ পাপহইতে পরিষ্কার করে, আর আমার ভরসা হয় যে আমাকেও পাপহইতে পরিষ্কার করিবে।”
তবে কি তাঁহার রক্তদ্বারা তাবৎ লোক পাপহইতে পরিষ্কৃত হয়?
“না, মহাশয়।”
কোন্ লোকেরা পরিষ্কৃত হইয়া ত্রাণ পায়?
“যাহারা তাঁহাতে বিশ্বাস করে।”
তুমি কি ধর্ম্মপুস্তকহইতে ইহার প্রমাণ দিতে পার?
“হাঁ, মহাশয় পারি, লেখা আছে যে কেহ পুত্ত্রে প্রতি বিশ্বাস করে, তাহার অনন্ত, পরমায়ুঃ হয়; যে পুত্ত্রকে না মানে, সে পরমায়ুর দর্শন পায় না; কিন্তু ঈশ্বরের ক্রোধপাত্র হইয়া থাকে।” যোহন ৩;৩৬।
বিশ্বাস প্রাপ্ত হওয়া কি?
“আমার এমত বোধ হয়, যীশু খ্রীষ্টের বিষয় অধিক ধ্যান করা, ও তাঁহাকে অধিক প্রেম করা, ও তিনি যাহা বলেন তাহা সত্য জ্ঞান করা, ও তাঁহার স্থানে পুনঃ২ প্রার্থনা করা, আর যৎকালীন আপনাকে অতি দুর্ব্বল ও পাপিষ্ঠ বোধ করি, তৎকালীন তিনি আমার নিমিত্তে বলবান ও কৃপাবান, ইহা বিবেচনা করাই বিশ্বাস।”
তুমি যে বিশ্বাসের কথা বলিলা, তোমার কি তদ্রূপ বিশ্বাস আছে?
“মহাশয়, আমি কখন২ বোধ করি আমার কিছু মাত্র বিশ্বাস নাই।”
হে উইলিয়ম, কেন তুমি এমত বোধ কর?
“আমি যখন প্রভু যীশু খ্রীষ্টের বিষয় ভাবিতে চাহি, তখন মন অন্য কোন বিষয়েতে যায়; যে সময়ে তাঁহাকে প্রেম করিতে চাহি, তখন অন্তঃকরণ শীতল হয়; তিনি