পাতা:কাব্যগ্রন্থ (অষ্টম খণ্ড).pdf/২৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ডাকঘর সে-সব আমি ওকে শুনিয়ে দিই। তুমি সেদিন আমাকে সেই যে হাল্কা দেশের কথা বলেছিলে, যেখানে কোনো জিনিষের কোনো ভার নেই—যেখানে একটু লাফ দিলেই অমনি পাহাড় ডিঙিয়ে চলে’ যাওয়া যায় সেই হাল্কা দেশের কথা শুনে ও ভারি খুসি হ’য়ে উঠেছিল। আচ্ছা ফকির সে দেশে কোন দিক দিয়ে যাওয়া যায় ? ঠাকুর্দা ভিতরের দিক দিয়ে সে একটা রাস্তা আছে সে হয় ত খুজে পাওয়া শক্ত । অমল ও বেচারা যে অন্ধ ও হয় ত দেখতেই পাবে ন—ওকে কেবল ভিক্ষাই করে বেড়াতে হবে। তাই নিয়ে ও দুঃখ করছিল—আমি ওকে বল্লম ভিক্ষা করতে গিয়ে তুমি যে কত বেড়াতে পাও, সবাই ত সে পায় না । ঠাকুর্দা বাবা ঘরে বসে’ থাকলেই বা কিসের দুঃখ । অমল না, না, দুঃখ নেই। প্রথমে যখন আমাকে ঘরের মধ্যে বসিয়ে রেখে দিয়েছিল আমার মনে হয়েছিল যেন দিন ফুরচ্চে না, আমাদের রাজার ডাকঘর দেখে অবধি এখন আমার রোজই ভালো লাগে—এই ঘরের মধ্যে বসে’ বসেই ভালো লাগে —একদিন আমার চিঠি এসে পৌছবে সে কথা মনে করলেই ミQや