পাতা:কাব্যগ্রন্থ (তৃতীয় খণ্ড).pdf/৩২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
পূর্ণিমা

ঘড়িতে দেখিনু চাহি দ্বিপ্রহর রাতি;
চমকি’ আসন ছাড়ি’ নিবাইনু বাতি।
যেমনি নিবিল আলো, উচ্ছ্বসিত স্রোতে
মুক্ত দ্বারে, বাতায়নে, চতুর্দিক হতে
চকিতে পড়িল কক্ষে বক্ষে চক্ষে আসি’
ত্রিভুবনবিপ্লাবিনী মৌন সুধাহাসি।
হে সুন্দরী, হে প্রেয়সী, হে পূর্ণ পূর্ণিমা,
অনন্তের অন্তরশায়িনী। নাহি সীমা
তব রহস্যের। এ কি মিষ্ট পরিহাসে
সংশয়ীর শুক চিত্ত সৌন্দর্য-উচ্ছাসে
মুহূর্তে ডুবালে? কখন্ দুয়ারে এসে
মুখানি বাড়ায়ে, অভিসারিকার বেশে
আছিলে দাঁড়ায়ে, এক প্রান্তে, সুররাণী,
সুদূর নক্ষত্র হ’তে সাথে করে আনি’
বিশ্বভরা নীরবতা। আমি গৃহকোণে
তর্কজালবিজড়িত ঘন বাক্যবনে
শুষ্কপত্রপরিকীর্ণ অক্ষরের পথে
একাকী ভ্রমিতেছিনু শূন্য মনােরথে,
তােমারি সন্ধানে। উদ্ভান্ত এ ভকতেরে
এতক্ষণ ঘুরাইলে ছলনার ফেরে।
কি জানি কেমন করে’ লুকায়ে দাঁড়ালে
একটি ক্ষণিক ক্ষুদ্র দীপের আড়ালে

৩০৯