রাস্তা থেকেই তা’কে পাওয়া শুরু করেছি। এখন আমার মনে তার কোনো ভাবনা নেই । তা’র জন্যে এত যে দুঃখ এই দুঃখই আমাকে তা’র সঙ্গে দিচ্চে— এত কষ্টের রাস্ত আমার পায়ের তলায় যেন স্বরে স্তরে বেজে উঠ চে–এ যেন আমার বীণা, আমার দুঃখের বীণা—এরই বেদনার গানে তিনি এই কঠিন পাথরে এই শুকনে ধূলোয় আপনি বেরিয়ে এসেছেন
—আমার হাত ধরেছেন—সেই তামার অন্ধকার ঘরের মধ্যে যেমন করে হাত ধরতেন—ত ঠাৎ চমকে উঠে গায়ে কাটা দিয়ে উঠ ত—এও সেই রকম । কে বল্লে, তিনি নেই ? স্তরঙ্গমা তুই কি বুঝতে পরিচিস্নে তিনি লুকিয়ে এসেছেন ?
সুরঙ্গমার গান অন্ধকারের মাঝে আমায় ধরেছ দুষ্ট হাতে । কখন তুমি এলে, হে নাথ, মৃত চরণপাতে ?
ভেবেছিলেম, জীবনস্বামী, তোমায় বুঝি হারাই আমি, আমায় তুমি হারাবে না বুঝেছি আজ রাতে । যে নিশীথে আপন হাতে নিবিয়ে দিলেম আলো, তারি মাঝে তুমি তোমার ধ্রুবতারা জালো ।
তোমার পথে চলা যখন ঘুচে গেল, দেখি তখন আপনি তুমি আমার পথে লুকিয়ে চল সাথে ।
)○。
পাতা:কাব্যগ্রন্থ (নবম খণ্ড).pdf/১৬০
পরিভ্রমণে ঝাঁপ দিন
অনুসন্ধানে ঝাঁপ দিন
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
