অচলায়তন একলা আমিই না, চারদিকে সমস্ত বিচলিত হ’য়ে উঠেচে । আমার মনে হচ্চে আমাদের এখানকার দেয়ালের প্রত্যেক পাথরটা পনান্ত বিচলিত । তুমি এটা অনুভব করতে পারচ ন সূতসোম ? উপাচার্য্য । কিছুমাত্র না । এখানকার অটল স্তব্ধতার লেশমাত্র বিচূতি দেখতে পাচ্চিনে । আমাদের ত বিচলিত হবার কথাও না । আমাদের সমস্ত শিক্ষ কোন কালে সমাধা হ’য়ে গেচে । আমাদের সমস্ত লাভ সমাপ্ত, সমস্ত সঞ্চয় পর্যাপ্ত । আচার্য্য । আজ আমার একটু একটু মনে পড়চে বহু পূর্বের সব প্রথমে সেই ভোরের লেলা অন্ধকার থাকতে থাকতে র্যার কাছে শিক্ষা তার স্তু করেছিলুম তিনি গুরুই—তিনি পুথি নন, শস্ত্র নন, বৃত্তি নন, তিনি গুরু । তিনি যা ধরিয়ে দিলেন ত{ষ্ট নিয়ে আরম্ভ করলুম-– এতদিন মনে করে নিশিচন্ত ছিলুম সেইটেই বুঝি আছে, ঠিক চলচে–কিন্তু— উপাচার্য্য । ঠিক আছে, ঠিকই চলচে, আচার্ন্যদেব, ভয় নেই ! প্রভু, আমাদের এখানে সেই প্রথম উষার বিশুদ্ধ অন্ধকারকে হাজার বছরে ও নস্ট ত’তে দিইনি। তারই পবিত্র অস্পষ্ট ছায়ার মধ্যে আমরা আচাৰ্য্য এবং ছাত্র, প্রবীণ এবং নবীন, সকলেই স্থির ত’য়ে বসে আছি । তুমি কি বলতে চাও এতদিন পরে ›ዓ8