পাতা:কাব্যগ্রন্থ (নবম খণ্ড).pdf/২১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অচলায়তন সবুজ প্রাণের গানের লেখা রেখায় রেখায় দেয়রে দেখা, মাতেরে কোন তরুণ কবি নুত্যদোতুল ছন্দে । ধানের শীষে পুলক ছোটে, সকল ধরা হেসে ওঠে, অস্ত্ৰাণেরি সোনার রোদে পূর্ণিমারি চন্দ্রে । পঞ্চক । আচ্ছা, না হয় তোর চাষই করিস সেও কোনো মতে সহ্য হয়—কিন্তু কে বলছিল তোরা কাকুড়ের চাষ করিস ? প্রথম শোণপাংশু | করি বই কি ! পঞ্চক । কঁকুড় ! ছি ছি ! গেসারিডালের ও চাষ করিস বুঝি ? তৃতীয় শোণপাংশু । কেন করব না । এখান থেকেই ত কঁকুড় খেসারিডাল তোমাদের বাজারে যায়। পঞ্চক । তা ত যায়, কিন্তু জনিস নে কাকুড় আর খেসারিডাল যার চাষ করে তাদের আমরা ঘরে ঢুকতে দিইনে । প্রথম শোণপাংশু । কেন ? পঞ্চক । কেন কি রে ? ওটা যে নিষেধ ! প্রথম শে{ণপাংশু । কেন নিষেধ ? পঞ্চক । শোন একবার । নিষেধ, তা’র আবার কেন ! সাধে তোদের মুখদর্শন পাপ । এই সহজ কথাটা বুঝিস্নে যে কঁকুড় আর খেসারিডালের চাষটা ভয়ানক খারাপ ।