পাতা:কাব্যগ্রন্থ (নবম খণ্ড).pdf/২৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অচলায়তন মহাপঞ্চক। যে উত্তরদিকে র্তার অধিষ্ঠান এখানে একদিন সেই দিককার জানলা খোলা হয়েচে । রাজা । ( বসিয়া পড়িয়া ) তবে ত আর আশা নেই । মহাপঞ্চক । আচাৰ্য্য অদীনপুণ এ পাপের প্রায়শ্চিত্ত করতে দিচ্চেন না । তৃণাঞ্জন। তিনি জোর করে আমদের ঠেকিয়ে রেখেচেন । রাজা । তবে ত মিথ্যা আমি সৈন্য জড় করতে বলে এলুম । দাও, দাও, অদীনপুণ্যকে এখনি নির্ববাসিত করে দা ও ! মহাপঞ্চক । আগামী অমাবস্যায়-- রাজা । না, না, এখন তিথি নক্ষত্র দেখবার সময় নেই । বিপদ আসন্ন | সঙ্কটের সময় আমি আমার রাক্ত অধিকার খাটাতে পারি।-- শস্ত্রে তা'র বিধান আছে । মহাপঞ্চক । হা আছে । কিন্তু আচাৰ্য্য কে হবে : রাজা । তুমি, তুমি ! এখনি আমি তোমাকে আচার্য্যের পদে প্রতিষ্ঠিত করে দিলুম দিকপালগণ সাক্ষা রইলেন, এই ব্রহ্মচারীর সাক্ষী রইলেন । মহাপঞ্চক । অদীনপুণ্যকে কোথায় নপলাসিত করতে চান ? রাজা । আয়তনের বহিরে নয়—কি জানি যদি শত্রপক্ষের সঙ্গে যোগ দেন । আমার পরামর্শ এই যে আয়তনের প্রান্তে যে দর্ভকদের পড়া আছে এ কয়দিন সেইখানে তাকে বদ্ধ করে রেখো । २२७