অচলায়তন
দাদাঠাকুর । আমি তোমার জায়গা ঠিক করে” রেখেচি ।
পঞ্চক। কোথায় ঠাকুর ?
দাদাঠাকুর । ঐ অচলায়তনে ।
পঞ্চক । আবার অচলায়তনে ? আমার কারাদণ্ডের মেয়াদ
ফুরোয় নি ?
দাদাঠাকুর । কারাগার যা ছিল সে ত আমি ভেঙে ফেলেচি, এখন সেই উপকরণ দিয়ে সেচখানে ত তোমাকে মন্দির গেথে তুলতে হবে ।
পঞ্চক । ঠাকুর, আমি তোমাকে জোড়হাত করে’ বলচি আর আমাকে বসিয়ে রাখার কাজে লাগিয়ে না । তোমাল ঐ বীরবেশে আমার মন ভুলেচে—তোমাকে এমন মনোহর আর কখনো দেখিনি ।
দাদাঠাকুর । ভয় নেই পঞ্চক । অচলায়তনে আর সেই শান্তি দেখতে পাবে না । তা’ব দ্বার ফুটো করে দিয়ে আমি তা’র মধ্যেই লড়াইয়ের ঝোড়ে। হাওয়া এনে দিয়েচি ৷ নিজের নাসা গ্রভাগের দিকে একদুস্টে তাকিয়ে বসে’ থাকবার দিন এখন চিরকালের মত ঘুচিয়ে দিয়েচি ।
পঞ্চক । কিন্তু অচলায়তনের লোকে যে আমাকে আপন
বলে’ গ্রহণ করবে না প্ৰভু ।
দাদাঠাকুর । আমি বলচি তুমি অচলায়তনের লোকের
সকলের চেয়ে আপন ।
૨૭૨
পাতা:কাব্যগ্রন্থ (নবম খণ্ড).pdf/২৮৬
পরিভ্রমণে ঝাঁপ দিন
অনুসন্ধানে ঝাঁপ দিন
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
